পৃথিবী আজ অসহায়। করোনা ভাইরাসের তোপের মুখে বিশ্বের মোড়ল দেশগুলোরও মাথা নুইয়ে দিচ্ছে। অসহায়ের মতো মানুষের মৃত্যু দেখছে।
কিন্তু করার মতো তেমন কিছুই করতে পারছে না। করোনার কালো ছায়া মানুষের এই গ্রহটিকে যখন অন্ধকারাচ্ছন্ন যমপুরীতে পরিণত করছে ঠিক এমনই সময়ই কানে এলো স্বস্তির বার্তা! বাতাসে খবর উড়ছে, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন বা প্রতিষেধক আবিষ্কার নিয়ে। তবে কি সত্যিই করোনার টিকা আবিষ্কার হয়ে গেছে?
হ্যাঁ। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী একটি ভ্যাকসিনের ৯০ শতাংশ কার্যকারিতা পেয়েছে প্রস্ততকারকরা। তৃতীয় ধাপের গবেষণার প্রাথমিক বিশ্লেষণে এমন প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও জার্মান জৈবপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেক। এ মাসের শেষের দিকে ভ্যাকসিনটি ব্যবহারের জন্য জরুরি অনুমোদন পেতে আবেদনের পরিকল্পনা করছে ওষুধ কোম্পানিগুলো। ফলে এই ভ্যাকসিন নিয়ে ইতোমধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাবের পর থেকেই এর প্রতিষেধক টিকা তৈরিতে গবেষণা চলছে। বর্তমানে বিশ্বজুড়ে ১৪০টিরও বেশি গবেষণার কাজ চললেও ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি চূড়ান্ত পরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের ছয়টি দেশের ৪৩ হাজার ৫০০ মানুষের ওপর ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চালানো হয়েছে। ভ্যাকসিনটির দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার সাতদিন পর ৯০ শতাংশের ক্ষেত্রে সুরক্ষা নিশ্চিত হয়েছে।
যারা আগে কখনও করোনায় আক্রান্ত হয়নি, তাদের মধ্যেও এ পরীক্ষা চালানো হয়। পরীক্ষায় দেখা গেছে, তাদের এ টিকা দেয়ার পর শরীরে করোনা ভাইরাস প্রবেশ করলেও তাদের কোভিড-১৯ হয়নি।
তবে এ ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রে লজিস্টিক্যাল চ্যালেঞ্জ রয়েছে। একে মাইনাস ৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে রাখতে হবে। কতদিন ধরে মানুষের শরীরে ইমিউনিটি বজায় থাকবে তা নিয়েও প্রশ্ন থেকে গেছে। বয়সভেদে ভ্যাকসিনটির কার্যকারিতা কেমন হবে, তা স্পষ্ট করেনি ওষুদ কোম্পানিগুলো।
ফাইজারের চেয়ারম্যান আলবার্ট বুরলা বলেন, ‘এ স্বাস্থ্য সংকটের সমাপ্তি টানতে যুগান্তকারী আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসীকে সহযোগিতা করার এক কদম দূর দাঁড়িয়ে আছি আমরা।’
Leave a Reply