আজ ১২ ডিসেম্বর আওয়ামী মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪০তম জন্মবার্ষিকী।
মওলানা ভাসানীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সন্তোষে ভাসানীর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মাজার জিয়ারত, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, আলোচনাসভা এবং দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ইত্যাদি। এ ছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হয়েছে কর্মসূচি।
সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। সন্তোষের মাটিতেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন। মওলানা ভাসানী তার কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন ছিলেন তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি। লাইন-প্রথা উচ্ছেদ, জমিদারদের নির্যাতনবিরোধী আন্দোলনসহ সারাজীবনই তিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছেন।
তার উদ্যোগে ১৯৫৭ সালে কাগমারীতে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলন বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি সর্বদলীয় ওয়ার কাউন্সিলের উপদেষ্টা ছিলেন। স্বাধীনতার পর তার সর্বশেষ কীর্তি ছিল ফারাক্কা লংমার্চ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অত্যন্ত স্নেহ করতেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। বঙ্গবন্ধুও তাকে শ্রদ্ধা করতেন।
১৮৮০ সালের এই দিনে সিরাজগঞ্জ জেলার ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার ডাকনাম ছিল চেগা মিয়া। তার বাবা হাজী শারাফত আলী ও মা বেগম শারাফত আলী।
১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার তৎকালীন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মৃত্যু হয়।
Leave a Reply