দ্বিতীয় ধাপে আজ শনিবার (১৬ জানুয়ারি) ৬০টি পৌরসভার ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে সকাল ৮টা থেকে। একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। পৌরসভাগুলোর মধ্যে ২৯টিতে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এবং ৩১টিতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে।
দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য এবং ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্র ছাড়াও নির্বাচনি এলাকাগুলোতে বিজিবি, পুলিশ ও আনসার মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও মোবাইল টিম এলাকায় টহল দিচ্ছে এবং স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন থাকছে। একইসঙ্গে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে যানবাহন চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হচ্ছে দিনাজপুরের জেলার বীরগঞ্জ, বগুড়ার সারিয়াকান্দি ও সান্তাহার, নওগাঁর নজিপুর, রাজশাহীর কাকনহাট ও আড়ানী, নাটোরের নলডাঙ্গা, সিরাজগঞ্জের কাজিপুর, পাবনার ফরিদপুর, মেহেরপুরের গাংনী, কুষ্টিয়ার কুমারখালী, ঝিনাইদহের শৈলকুপা, বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট, মাগুরার মাগুরা, পিরোজপুরের পিরোজপুর, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া, নেত্রকোনার কেন্দুয়া, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর, ঢাকার সাভার, নরসিংদীর মনোহরদী, নারায়ণগঞ্জের তারাব, শরীয়তপুরের শরীয়তপুর, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর, কুমিল্লার চান্দিনা, ফেনীর দাগনভূঞা, নোয়াখালীর বসুরহাট, খাগড়াছড়ির খাগড়াছড়ি এবং গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভায়।
আর ব্যালটের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হচ্ছে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি, উল্লাপাড়া, সদর ও রায়গঞ্জ, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, কুষ্টিয়ার সদর, ভেড়ামারা ও মিরপুর, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ ও সদর, দিনাজপুর সদর ও বিরামপুর, পাবনার ভাঙ্গুড়া, সাথিয়া ও ঈশ্বরদী, রাজশাহীর ভবানীগঞ্জ, সুনামগঞ্জের সদর ও ছাতক, হবিগঞ্জের মাধবপুর ও নবীগঞ্জ, ফরিদপুরের বোয়ালমারী, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা, নাটোরের গুরুদাসপুর ও গোপালপুর, বগুড়ার শেরপুর, বান্দরবান জেলার লামা এবং কিশোরগঞ্জ সদর পৌরসভায়।
দেশের ৩২৯টি পৌরসভার মধ্যে প্রথম ধাপে গত ২৮ ডিসেম্বর ইভিএমে ভোট হয় ২৪টি পৌরসভায়। দ্বিতীয় ধাপে আজ ভোট হচ্ছে ৬০ উপজেলায়। তৃতীয় ধাপে ৬৪টি পৌরসভায় ৩০ জানুয়ারি এবং চতুর্থ ধাপে ৫৬টি পৌরসভায় ১৪ ফেব্রুয়ারি ভোট নেওয়া হবে।
Leave a Reply