বিয়ে করার শর্তে ধর্ষণ মামলার আসামিকে জামিন দেওয়া হবে- আশ্বাস দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। গত ১ নভেম্বর আদালতের আশ্বাসের ওপর আস্থা রেখে আজ বৃহস্পতিবার যাকে ধর্ষণ করেছিলেন, তাকে বিয়ে করেন ফেনীর সোনাগাজীর বাসিন্দা জিয়াউল হক জিয়া। দুপুর ১২টার দিকে ফেনী জেলা কারাগারের সামনে জাকঁজমক আয়োজনে এ বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বর-কনেসহ দুপক্ষের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, সকালে দুই পক্ষের লোকজন মিষ্টি নিয়ে জেলা কারাগারের সামনে আসেন। পরে জিয়া ও ভুক্তভোগীর আইনজীবীরা সেখানে আসেন। বিয়ে পড়াতে আসেন জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামানসহ কাজী আবদুর রহিম। ৬ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য্য করে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান বলেন, গত ১ নভেম্বর বিয়ে করার শর্তে প্রেমিকাকে ধর্ষণের ঘটনায় কারাবন্দী জিয়াউল হক জিয়াকে জামিন দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন হাইকোর্ট। সে লক্ষ্যে আজ ওই তরুণীর সঙ্গে জিয়ার বিয়ে হলো। বিয়ের দেনমোহর ধার্য্য করা হয়েছে ৬ লাখ টাকা।
এ বিয়েতে জিয়া খুশি বলে জানিয়েছেন। তবে তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা যায়নি। এমনকি দুই পরিবারও বিয়ে নিয়ে খুশি বলে জানা গেছে।
গত ২৭ মে জেলার সোনাগাজীর চরদরবেশ এলাকার এক তরুণীকে ধর্ষণ করেন তার প্রেমিক জহিরুল ইসলাম জিয়া। তার বাবা একজন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য। ঘটনার দিনই ভুক্তভোগী জিয়ার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। গত ২৯ মে জিয়াকে গ্রেপ্তার করে সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশ।
পরে জামিনে মুক্তি পেলে ভুক্তভোগীকে জিয়া বিয়ে করবেন, তার পরিবার এ আবেদন পূর্বক আদালতের কাছে জামিন চেয়ে আপিল করে। পরে হাইকোর্ট জিয়ার জামিন না দিয়ে কারা ফটকেই ভুক্তভোগীর সঙ্গে তার বিয়ের আয়োজনের জন্য ফেনী কারাগারের তত্ত্বাবধায়ককে নির্দেশ দেন।।
একই সঙ্গে বিয়ের বিষয়ে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেন। তারই ধারাবাহিতায় আজ জিয়া ও তার প্রেমিকোর বিয়ে অনুষ্ঠিত হলো।
Leave a Reply