বরগুনার আমতলীতে স্বামীর পরকিয়ায় বাধাদেয়ায় ও যৌতুকের দাবীতে ২ সন্তানের জননীকে মারধোর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বামীর বিরুদ্ধে । এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানাগেছে মারধোরে আহত লিপিবেগম(২৫)র পরিবার সুত্রে।
ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সকালে আমতলী উপজেলার দক্ষিন আমতলী গ্রামে। জানা গেছে, আমতলী সদর ইউনিয়নের ছোট নিলগঞ্জ গ্রামের শাহাজাহান সিকদারের মেয়ে লিপির সাথে একই ইউনিয়নের দক্ষিন আমতলী গ্রামের আইযুব গাজীর পুত্র সোবহান গাজীর সাথে ১৮ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয় এবং তাদের ১০ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান ও ৪ বছর বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
আমতলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন লিপি বেগম (২৫) জানান, বিবাহের পর থেকে স্বামী সোবাহান গাজী বাবার বাড়ী থেকে ৩ লাখ যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময় মারধোর করে নির্যাতন করে আসছেন । গত ৫ বছর পূর্বে এ রকম নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোটে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা দায়ের করেন যার নং ৩৯৫/১৫।
মামলার করার পর স্বামী সোবহান গাজী (৩৫) বিজ্ঞ নোটারী পাবলিক আমতলী কার্যালয়ের ৫/৮/১৫ ইং কখনো যৌতুক চাইবেনা মারধোর করবেনা বলে এ্যাফিডেভিট দিয়ে বাড়ীতে নিয়ে যান ।
বাড়ী যাওয়ার পর ছোট খাটো বিষয় কোন প্রতিবাদ না করে ঘর সংসার করে আসছেন লিপি বেগম । লিপি বেগমের এ নিরবতার সুযোগে সোবাহান গাজী এক মহিলার সাথে পরকিয়ায় আসক্ত হয়ে পড়েন। বিষয়টি জানার পর , শশুর আইয়ুব গাজী , ননদ জামাই সোহরাব সিকদার, ননদ শিরিনা বেগম শাশুড়ী শেফালী বেগমকে জানায় লিপি বেগম তারা এবিষয় কোন বিচার না করে সকলে মিলে পুনরায় তিন লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন লিপি বেগমের উপর ।
৩০ নভেম্বর সোমবার সকালে তিন লাখ টাকা যৌতুক বাবার বাড়ী থেকে এনে দিতে বলেন স্বামী সোবাহান গাজী টাকা এনে দিতে পারবোনা বলে জানালে লিপি বেগমকে মারধোর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখম করে ফেলে রাখেন । তখন বাড়ী অন্যলোকেরা এসে আমতলী হাসপাতালে ভর্তি করেন লিপি বেগম(৩৫)কে ।
আমতলী হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় লিপি বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলা জখমের চিন্থ রয়েছে। এ ঘটনার ব্যাপারে সোবাহান গাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন কথা বলবেন না বলে জানান। আমতলী থানার ওসি তদন্ত মো. হেলাল উদ্দিন জানান, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply