করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশসহ বেশ কয়েকটি দেশের যাত্রীদের প্রবেশের ব্যাপারে কড়াকড়ি আরোপ করেছে ইতালি। বাংলাদেশ ছাড়াও এ তালিকায় রয়েছে ব্রাজিল, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও যুক্তরাষ্ট্র।
ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে করা এক প্রতিবেদনে দেশটির অনলাইন সংবাদমাধ্যম শেনজেন ভিসাল ইনফো ডট কম জানিয়েছে, গত ৩০ আগস্ট বিদেশি যাত্রীদের প্রবেশের বিষয়ে একটি নতুন অধ্যাদেশ পাস হয়েছে ইতালির আইনসভায়।
সেই অধ্যাদেশে করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বেশি হচ্ছে- এমন দেশগুলোকে ‘ই’ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই তালিকায় থাকা দেশগুলো থেকে যেসব যাত্রী চিকিৎসা, শিক্ষা ও পেশাগত কারণে ইতালিতে প্রবেশে ইচ্ছুক, শুধু তাদেরকেই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে।
ইতালিতে প্রবেশের পরে যাত্রীদের বাধ্যতামূলকভাবে ডিজিটাল প্যাসেঞ্জার লোকেটর ফর্ম (পিএলএফ) পূরণ করতে হবে এবং প্রবেশের ৭২ ঘণ্টা আগে অবশ্যই করোনা পরীক্ষা করাতে হবে।
স্বাভাবিকভাবেই সেই পরীক্ষায় নেগেটিভ হওয়া যাত্রীদেরই কেবল ইতালিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে, কিন্তু প্রবেশের পর প্রত্যেক যাত্রীকে ১০ দিন সেলফ কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে এবং এর মধ্যেই দ্বিতীয়বার টেস্ট করাতে হবে।
সেই টেস্টের ফলাফল যদি নেগেটিভ আসে, সেক্ষেত্রে কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ ১০ দিনেই শেষ হবে। অন্যদিকে পজিটিভ এলে কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ আরও বাড়বে।
ই তালিকাভূক্ত দেশগুলোর যেসব যাত্রী গত দুই সপ্তাহ বা তার বেশি সময় ধরে ইতালিতে অবস্থান করছেন, তাদেরকে ‘যত দ্রুত সম্ভব’ পিএলএফ পূরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অধ্যাদেশে।
আরও বলা হয়েছে, ১ সেপ্টেম্বরের পর থেকে শুধু গ্রিন পাসধারী যাত্রীদেরই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে ইতালিতে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ইউরোপিয়ান মেডিকেল এজেন্সি (ইএমএ) যেসব করোনা টিকাকে অনুমোদন দিয়েছে সেসবের ডোজ গ্রহণকারীদের গ্রিন পাস দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইইউ।
এর আগে ইতালির সিনেমা হল, ক্যাফে, পানশালা, জাদুঘরসহ জনসমাগমপূর্ণ স্থানগুলোতে গ্রিস পাস বাধ্যতামূলক করেছিল ইতালি। কিন্তু নতুন অধ্যাদেশের আওতায় এখন থেকে সব জায়গায় গ্রিন পাস রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
Leave a Reply