ইসলামের দৃষ্টিতে ভাস্কর্য নিষিদ্ধ বলে জনিয়েছেন চরমোনাইয়ের পীর তথা ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি মুহম্মদ রেজাউল করীম। তিনি বলেছেন, ‘ইসলামের দৃষ্টিতে ভাস্কর্য নিষিদ্ধ। তাই আলেমরা ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করছেন। এ বিরোধিতা অব্যাহত থাকবে।’
আজ মঙ্গলবার পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ইসলামী আন্দোলনের আমির।
তিনি বলেন, ‘কোনো আলেম ভাস্কর্য ভাঙতে বলেননি। ভাস্কর্য ভাঙা নিয়ম বহির্ভূত কাজ। সরকার এতে জড়িতদের বিচার করলে আপত্তি নেই।’
রাজধানীর দোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্থাপনের বিরোধিতা করায় হেফাজতে ইসলামে আমির মাওলানা জুনায়েদ বাবুনগরী, ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির মুফতি মুহম্মদ ফয়জুল করীম, হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে। মামলার পর ভাস্কর্যের বিষয়ে দলীয় অবস্থান তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলন করেন চরমোনাইয়ের পীর। মামলা প্রত্যাহার এবং আলেম সমাজের বিরুদ্ধে ব্যঙ্গ বিদ্রুপ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যৌক্তিকভাবে ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করা হয়েছে। কিন্তু তারা ভাস্কর্য বা মূর্তি ভাঙতে বলেননি। কেউ এ ধরনের আচরণ করলে তা নিয়মবহির্ভূত কাজ।’
‘উলেমায়ে কেরামের বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিদ্বেষ নেই। মূর্তি স্থাপন না করে বঙ্গবন্ধুকে অন্যভাবে স্মরণ করার পরামর্শ দিয়েছেন আলেমরা। তারা এ দাবিই সরকারের কাছে জানিয়েছেন। দাবি মানা না মানা সরকারের বিষয়। কিন্তু আলেমদের দাবিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে অপদস্থ করছে একটি সুবিধাবাদী মহল। তারা ভাস্কর্যকে ইস্যু করে দেশে চরম উসকানি ও উত্তেজনা তৈরি করছে’, বলেন চরমোনাইয়ের পীর।
রেজাউল করীম আরও বলেন, ‘সরকার এই মহলের “অপকর্ম” বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে ধর্মপ্রাণ মানুষ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বাধ্য হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন-ফয়জুল করীম, ইাসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, খন্দকার গোলাম মাওলা, রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন প্রমুখ।
Leave a Reply