বিএনপি রাজাকারের দল নয়, আওয়ামী লীগই রাজাকার আল-বদরের দল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশ্যে বলেন, এতো কথা বলেন কেনো? প্রত্যেকটা বীর জাতীয়তাবাদী দল করে। এটা রাজাকারের দল নয়, আপনার দল এখন রাজাকার আল-বদরের।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, স্লোগান যথেষ্ট নয়, এই সরকার পতনের জন্য। তার পরে তো ঘরে বসে নয়। প্রস্তুত হন। জবাব আমাদেরকে একটা একটা করে দিতে হবে। আমরা আর শেখ হাসিনার কোন ইস্যুতে পা দেব না। আমাদেরকে শেখ হাসিনা ইস্যু দেবে। ইস্যু এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ। আবার আগের মতো স্লোগান দেব, এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের মতো, একদফা এক দাবি হাসিনা কবে যাবি। আমাদের সেই অভিজ্ঞতা আছে। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে যদি আমাদের কর্মীদের এক করতে পারি। যেই দলের কর্মীরা মরতে প্রস্তুত সেই দলের ভয় কিসের।
বৃহস্পতিবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা যাদের ভোট চোরের সরকার বলও তারা আজ কয়েকদিন যাবৎ দলবদ্ধভাবে তারা কিছু কথাবার্তা বলছেন। আমি বলবো ওরা (আওয়ামী লীগ) দীর্ঘ ১২ বছর কখনো পাপিয়া, কখনো পরীমনি একেক সময় একেকটা ইস্যু দাঁড় করায়।
তিনি বলেন, এখন আমাদের মনে হয় গণতান্ত্রিক শক্তির পক্ষ থেকে, জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে একটা ইস্যু দেয়া দরকার। সেই ইস্যু হলো জনগণের দাবি এক শেখ হাসিনার পদত্যাগ। এর বিকল্প কিছু নেই।
তিনি বলেন, সংগ্রাম আন্দোলনে আমাদের ভূমিকা, আমরা জেল জুলুম অত্যাচারের শিকার, আমরা অনেক ত্যাগ শিকার করেছি, কিন্তু চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে যদি ব্যর্থ হই তাহলে সব কাজই কিন্তু বৃথা। আর ইতিহাস যারা বিক্রিত করতে চায় তাদের বিক্রিত করণ এবং তাদেরকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা থেকে তাড়ানো ছাড়া বিকল্প কোন পথ আমাদের জন্য অবশিষ্ট নেই।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেন নাই, আজকের যিনি প্রধানমন্ত্রী তিনি যুদ্ধ করেছেন। তিনি ৯ মাস না, ১০ মাস যুদ্ধ করেছেন। এই দশ মাসের ফসলই…। তবুও দোয়া করি ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন। আরো দোয়া করি শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করি। আপনাকেতো দেখতে হবে আপনি কি কি করিয়াছেন। মানুষকে অকারণে ব্যাথা দিলে কতটা ব্যাথা লাগে সেটা আপনার উপভোগ করা প্রয়োজন।
গয়েশ্বর বলেন, যারা বলে জিয়াউর রহমান যুদ্ধ করেন নাই তারাই যুদ্ধাপরাধী, যারা বলে জিয়াউর রহমান গুলি করেন নাই তারাই যুদ্ধাপরাধী তারাই স্বাধীনতাকে শিকার করে না। যদি স্বাধীনতাকে শিকার করতে হয় তাহলে জিয়াউর রহমানকে অস্বীকার করে হয় না।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) শাহজাহান ওমর, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।
Leave a Reply