কক্সবাজারের ঈদগাঁওয়ে সংঘটিত গণধর্ষণ ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাসটি অবশেষে ঈদগাঁও থানা পুলিশ উদ্ধার করেছে।
২ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁও থানার পার্শ্ববর্তী রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রাম এলাকা থেকে গাড়িটি উদ্ধার হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, অতি সম্প্রতি সংঘটিত আলোচিত গণধর্ষণ ঘটনায় জড়িত শ্রমিক নেতা খোরশেদ আলমকে ভিকটিমসহ ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ আটক করে।
পরে তার স্বীকারোক্তি মতে ঘটনায় ব্যবহৃত মাইক্রোবাস চালক আহমদ উল্লাহকে পুলিশ আটক করতে পারলেও মাইক্রোবাসটি জব্দ করতে পারেনি। সেই থেকে মামলার তদন্ত অগ্রগতির স্বার্থে পুলিশ মাইক্রোবাসটি হন্য হয়ে খুঁজতে শুরু করে।
ঘটনার এক সপ্তাহ অতিবাহিত না হতেই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল হালিমের নেতৃত্বে পুলিশ দল পার্শ্ববর্তী রামু উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের গুচ্ছ গ্রাম সংলগ্ন পাহাড়ি জঙ্গলের কবরস্থান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় রামু থানা পুলিশের সহযোগিতায় মাইক্রোবাসটি উদ্ধার করে।
পরে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য সিআইডির মাধ্যমে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করে গাড়িটি জব্দ দেখানো হয়।
ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও আলোচিত এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (পরিদর্শক) আবদুল হালিম গাড়িটি উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত মঙ্গলবার নিজের নেতৃত্বে এসআই মো. রেজাউল করিমসহ সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপরোক্ত স্থানে অভিযান চালিয়ে এ গণধর্ষণ মামলার মূল আলামত, আসামিদের ব্যবহৃত গাড়িটি(যার নং- ঢাকা মেট্রো চ ১৩- ৪৪৬৪, সিলভার কালারের হাইয়েস (ঝঁঢ়বৎ ঔবষ) উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকালে সিআইডি কক্সবাজার টিমের সহযোগিতায় আসামিদের ব্যবহৃত গাড়ি হতে সন্ধিগ্ধ কিছু আলামত জব্দ করা হয়।তিনি আরো বলেন, ফরেনসিক রিপোর্ট পেলে মামলার তদন্তের আরো অগ্রগতি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
Leave a Reply