নোয়াখালীর সদর উপজেলার মান্নাননগর সংলগ্ন পশ্চিম চর উরিয়া গ্রামের “মানফাত মিট ক্যাটেল অ্যান্ড ডেইরি ফার্ম” নামে খামারটিতে এখন বৃহত্তর নোয়াখালীর বেকার যুবকদের স্বাবলম্বী হওয়ার পথ দেখাচ্ছে নোয়াখালী জেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন । তার সফলতা দেখে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন নতুন খামারিরা।
এলাকার খামারটি দৃষ্টি কাড়ছে সবার। পুরো খামারটিতে রয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া। শেডের ভেতরে প্রতিটি গরুর জন্য স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তৈরি করা হয়েছে আলাদা আলাদা চৌবাচ্চা। রয়েছে গরুর গোসল, চিকিৎসা ও প্রজননের জন্য রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা।
এখানে গরু মোটাতাজা ও দুগ্ধ উৎপাদনের জন্য ৮০টি শাহিওয়াল ও ফ্রিজিয়ান জাতের গরু দিয়ে যাত্রা শুরু হয় মানফাত মিট ক্যাটেল অ্যান্ড ডেইরি ফার্মের। এখানে বড় গরু থেকে শুরু করে ছোট ছোট গরুও রয়েছে। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিদিন গমের ভুসি, মুগডাল ভুসি, মসুর ভুসি, সয়াবিন খৈল, কাঁচা ঘাস, খড় ও লবণ ছাড়াও দেশীয় বিভিন্ন দানাদার খাবার দেওয়া হয় গরুকে।
খামারটির যাত্রা শুরু হয় ৭০টা গরু দিয়ে । এর মধ্যে ১২টি দুধের গরু ছিল। বর্তমানে ২৫০টি গরু রয়েছে। এখানে বড় গরু থেকে শুরু করে ছোট ছোট গরুও রয়েছে। সব গরুকে দেশিও খাবারের মাধ্যমে লালন-পালন করা হচ্ছে । বর্তমানে গোখাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় আমাদের সামগ্রিক খরচ ও বেড়ে গেছে বলে জানান তিনি।
কর্মরত শ্রমিকরা বলেন, আমরা আটজন কর্মচারী গরুগুলোর যত্ন নিই। সপ্তাহে দুই দিন ব্লিসিং পাউডার ও চুন দিয়ে খামার পরিষ্কার করে রাখি। শুধু গরু কেনার জন্য নয়, অনেকেই শখ করে খামার দেখতে আসেন। মশা-মাছি বা কোনো রকমের দুর্গন্ধ নেই খামারে। সুন্দর পরিবেশ আর আধুনিক উপায়ে গরু পালন করি আমরা।
শিহাব উদ্দিন শাহিন বলেন, নোয়াখালীতে প্রথম আমি লাইভ ওয়েট স্কেলে গরু বিক্রি শুরু করি, পরে আমার দেখাদেখি অন্যরাও শুরু করেছে। আমি মনে করি বাজারে গেলে মানুষ বিভিন্নভাবে প্রতারিত হওয়ার শঙ্কা থাকে। কোরবানির হাটে দালাল থাকে, তারা মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে। খামারে এলে পছন্দের গরু লাইভ ওয়েট স্কেলে কিনতে পারে। আমরা শতভাগ সুষ্ঠু ও সুঠাম দেহের গরু দিয়ে থাকি। আমি ঈদুল আজহা উপলক্ষে ২০০ টি গরু বিক্রির আশা রাখছি। যার বাজার মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা।
Leave a Reply