কুড়িগ্রামের উলিপুরে নানা বাড়ীতে বেড়াতে এসে প্রেমিকের সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক ১৫ বছরের কিশোরী।
গত শুক্রবার (১০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের রাজারাম এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরীর মা আমাতি রাণী শনিবার পূর্ব নাওডাঙ্গার সুধান চন্দ্র রায়ের ছেলে প্রেমিক শান্ত চন্দ্র রায় (২০) সহ চার জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত দুই জন আসামি দিয়ে উলিপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে এই ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
আসামিরা হলেন- পশ্চিম নাওডাঙ্গার সাহেব আলীর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে
নোমান (২২), নিজাই খামার মাঝাপাড়া গ্রামের কছির উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান শুটকু (৪০) ও পূর্ব নাওডাঙ্গার বাকরেরহাট হিন্দুপাড়ার ফনি চন্দ্রের ছেলে চন্দন চন্দ্ৰ (২০)।
মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, গত ৬ নভেম্বর রংপুর পীরগাছা স্বামীর বাড়ী থেকে পরিবারসহ উপজেলার ধামশ্রেণী ইউনিয়নের ফুটানিপাড়া গ্রামে বাবার বাড়ীতে বেড়াতে আসে। গত শুক্রবার দুপুরে ঐ কিশোরী কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়ী থেকে বের হয়ে গিয়ে দীর্ঘ সময় বাড়ীতে না আসায় স্বজনরা তাকে খোঁজাখুজি করতে থাকে। পরে ঐ কিশোরীর স্বজনরা রাতেই খবর পায় ভুক্তভোগী থানায় পুলিশের হেফাজতে আছে। পরে ভুক্তভোগীর মা থানায় এসে ভুক্তভোগীর নিকট জানতে পায়, প্রায় এক বছর আগে দুর্গাপূজার সময় আসামী শান্ত চন্দ্র রায়ের সাথে কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
গত ১০ নভেম্বর বিকেলে শান্ত ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে পৌর শহরের নাওডাঙ্গার বিলে ডেকে নেন। পরে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রেমিকের সাথে ঘোরাঘুরি করেন। পরে শান্ত কিশোরীকে অজ্ঞাত অটোরিকশায় তুলে দেওয়ার সময় বাকী আসামীরা কৌশলে শান্তকে অজ্ঞাত অটোরিকশায় উলিপুর বাজারের দিকে পাঠিয়ে দেয়। তারপর পরিকল্পনার মূলহোতা আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে নোমানসহ বাকীরা ঐ কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দলদলিয়া ইউনিয়নের রাজারাম এলাকায় কৃষি জমিতে সেচ পাম্পের ঘরে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
নোমান বাকীদের সহযোগিতায় ভুক্তভোগীর মুখ চেপে ধরে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ শেষে ভুক্তভোগী কে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে বের করে দেয়। কাঁদতে কাঁদতে বাকরেরহাট বাজারে আসলে বাজারের স্থানীয় লোকজন ঘটনা জানতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে মেয়েকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় থানা পুলিশ।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মর্তুজা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনা সত্য এবং এ ঘটনায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এবং আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply