আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরর ছোট ভাই কাদের মির্জা বলেছেন, বর্তমান ভোটের রাজনীতিতে বৃহত্তর নোয়াখালীতে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। এটি উত্তরণের জন্য মূলত আমি এই কথাগুলো বলেছি।
বৃহত্তর নোয়াখালীতে চারটি সংসদীয় আসন আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করার মতো কিছুটা পরিস্থিতি আছে।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে কাদের মির্জা এসব কথা বলেন।
নোয়াখালী চারটি আসনের মধ্যে একটির এমপি হচ্ছেন ইকরামুল হক। আপনি যেই প্রশ্ন তুলছেন ওনার আসনে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে উনি কি জয় লাভ করতে পারবেন? এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের মির্জা বলেন, ইকরামুল হকের বিজয় লাভ করার প্রশ্ন-ই আসে না। নোয়াখালী রাজনীতিতে সে যেই অনিয়ম করেছে এটা আমাদের দলের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক ও লজ্জা জনক।
‘এখানে ওনার অপরাজনীতিতে নোয়াখালীর মানুষ আজ হতাশ। আজকে টেন্ডার বাণিজ্য, চাকরি বাণিজ্য, নোয়াখালীর প্রশাসনকে প্রভাবিত করে নানান অনিয়ম উনি করে যাচ্ছে। এগুলো বলে আমি আমাদের নেতাদের বিব্রত করতে চাই না।’
কাদের মির্জা আরও বলেন, নোয়াখালী ও ফেনীর অপরাজনীতিগুলো তুলে ধরার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট তিনবার গিয়েছি। সেখানে যেসকল নেতারা যায় তারা নেত্রীর সামনে যেভাবে কথাবার্তা উপস্থাপন করে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, কি ভাবে নেত্রী শুনে আমি বুঝি না; আল্লাহ কি শক্তি ওনাকে দিয়েছে। তারা হিটলারের মনকেও জয় করে নেওয়ার মতো কথাবার্তা বলে থাকেন। তারপর কিছু আছে তারা নেত্রীর কাছে গিয়ে কান্না করে; এসব শব্দ শুনবার পর সেখানে আর কিছু বলার পরিবেশ থাকে আপনারাই বলুন? সেই পরিবেশ না থাকার কারনে এগুলো নিয়ে আর কোথাও আলোচনা করা সম্ভব হয় নি।
তিনি বলেন, আমি অপরাজনীতির বিরুদ্ধে এগুলো বলি; আমিতো কোন দায়িত্ব পাওয়ার লোভে তো এগুলো করছি না। আমি অপরাজনীতির বিরুদ্ধে কথা বলি, আমি অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলি। কথা বলতে গিয়ে কারো বিরুদ্ধে গেলে সেটা যদি নিন্দা বলা হয় সেখানে বলার কিছু নাই। আমি অবশ্যই সাহস করে সত্য কথা বলবো। এই অপরাজনীতি আমাদেরকে বন্ধ করতে হবে।
Leave a Reply