তালেবান এক সপ্তাহের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রিসভা গঠন করবে। আর শিগগিরই কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণও গ্রহণ করবে। গ্রুপটির মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ শনিবার রয়টার্সকে এ তথ্য দিয়েছেন।
তালেবান ইতোমধ্যেই আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ৩৩টির গভর্নর ও পুলিশপ্রধানকে নিয়োগ দিয়েছে।
মুজাহিদ বলেন, আফগানিস্তানের মন্ত্রিসভায় নারীরা থাকবে কিনা তা এখনই অনুমান করা কঠিন। এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে শীর্ষ নেতৃত্ব।
মুজাহিদ বলেন, ‘খুব শিগগিরই’ কাবুল বিমানবন্দর তালেবানের ‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে’ চলে আসবে।
তিনি বলেন, কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনার জন্য আমাদের কাছে পর্যাপ্ত সংখ্যক নিরাপত্তা ও কারিগরি স্টাফ রয়েছে।
তালেবান গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করার পর তারা তাদের সহনীয় ভাবমর্যাদা প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। ইতোমধ্যেই তারা সরকারি কর্মী ও সৈন্যদের প্রতি সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছে। তাছাড়া নারীদের অধিকার রক্ষার সংকল্পের কথাও জানিয়েছে।
তালেবান গত শুক্রবার দাবি করেছিল, তারা মার্কিন সৈন্যদের খালি করা কিছু এলাকার নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করেছে। তবে পরে পেন্টাগন ওই তথ্য প্রত্যাখ্যান করে জানায় বিমানবন্দরের কার্যক্রম বা কোনো ফটকের দায়িত্ব তালেবানের হাতে নেই। পেন্টাগন জোর দিয়ে জানায়, ওই দায়িত্ব এখনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে।
তুর্কি ও কাতারি মিডিয়া খবর প্রকাশ করেছে যে কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনার জন্য তালেবান উভয় দেশকেই অনুরোধ করেছে। কিন্তু মুজাহিদ রয়টার্সকে জানান, কাবুল বিমানবন্দর পরিচালনা করার কাজে সহায়তার জন্য তুরস্ক বা কাতারের প্রয়োজন কিনা তা বলার সময় এখনো আসেনি।
তালেবানের মুখপাত্র আফগানিস্তানের সাথে কূটনৈতিক সম্পক রক্ষা করার জন্য পাশ্চাত্যের প্রতিও আবেদন জানান। যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দিতে তাড়াহুড়া করবে না বলে হোয়াইট হাউসের বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে মুজাহিদ এই অনুরোধ করলেন।
Leave a Reply