সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুলের সম্পদের হিসাব চেয়ে কুয়েতের কারাগারে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের চিঠি। ওই দেশের কারাগারে থাকায় তার সম্পদের বিবরণ চেয়ে নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
প্রাথমিকভাবে কারো অবৈধ সম্পদ পাওয়া গেলে তার কাছে সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠায় সংস্থাটি। পাপুলের নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য পাওয়ায় দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সালাউদ্দিন কুয়েতে তার সম্পদের নোটিশ পাঠানোর জন্য কমিশনের কাছে আবেদন করেন।
কমিশনের অনুমতির পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কুয়েত দূতাবাসের মাধ্যমে তার কাছে স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠানো হয়। এ নোটিশ এখন যাবে কুয়েতের কারাগারে থাকা বাংলাদেশি এই সংসদ সদস্যের কাছে।
গত ১১ই নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে দুই কোটি ৩১ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৪৮ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুল, তার স্ত্রী সংরক্ষিত আসনের এমপি সেলিনা, মেয়ে ওয়াফা ইসলাম এবং শ্যালিকা জেসমিন প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় গত ২৬ নভেম্বর পাপুলের স্ত্রী সংসদ সদস্য সেলিনা ইসলাম ও মেয়ে ওয়াফা ইসলাম হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়ে আবেদন করেন। সে আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তাদের আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ অনুসারে তারা আত্মসমর্পণ করে ২০২০ সালের ২৭ নভেম্বর ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালত থেকে জামিন পান।
প্রসঙ্গত, অর্থ ও মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার হন সংসদ সদস্য শহিদ ইসলাম পাপুল৷ বর্তমানে তিনি কুয়েতের কারাগারে আছেন। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাপুলের বিরুদ্ধে মানবপাচারসহ জ্ঞাত আয় বহির্ভূত উপায়ে শত শত কোটি টাকা অর্জন করে হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয় দুদক। ইতিমধ্যে পাপুল ও তার স্ত্রী সংরক্ষিত নারী সদস্য সেলিনা ইসলামসহ চার জনের ৬১৭টি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ এবং ৯২টি তফসিলভুক্ত স্থাবর সম্পত্তি ক্রোকেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply