করোনা ভাইরাসে কারণে সৌদি আরব, কুয়েত ও ওমান আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল স্থগিত করায় আগামী এক সপ্তাহে ৪২টি ফ্লাইট বাংলাদেশ থেকে বাতিল হয়ে গেছে।
নতুন করে আরও কোনো দেশের ফ্লাইট বাতিলের আশঙ্কায় অন্য গন্তব্যের যাত্রীরাও দুশ্চিন্তায় আছেন। এদিকে বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যসহ অন্য কোনো গন্তব্যের ফ্লাইট আপাতত বাংলাদেশ বাতিল করছে না।
যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাস তার রুপ বদল করে শক্তিশালী হয়ে ওঠার খবরে সৌদি আরব ও ওমান আপাতত বন্ধ রেখেছে সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল। এতে যে কেবল ওই দুই দেশে গমনকারী বাংলাদেশি যাত্রীরা বিপাকে পড়েছেন, তা নয়। চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন অন্যান্য গন্তব্যের যাত্রীরা।
মঙ্গলবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দেখা যায়, আরবের অন্য দেশের যাত্রীরা অজানা আতঙ্কের মধ্যে আছেন যে কখন তাদের ফ্লাইটও বাতিল হয়ে যায়।
বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হঠাৎ করে সৌদি আরব ও ওমান বিমান চলাচল স্থগিত করায় আগামী এক সপ্তাহে বেশ কিছু ফ্লাইট বাতিল হয়ে যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশ নিজে থেকে নতুন কোনো গন্তব্যে বিমান চলাচল বাতিল করছে না।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মুহিবুল হক বলেন, ‘আমরা কোনো দেশের সাথে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করিনি। তারা যেহেতু আমাদের অ্যাক্সেস দিচ্ছে না, সে কারণে আমাদের বিমান যেতে পারছে না। এটা হলো বিষয়। আমরা মধ্যপ্রাচ্য বন্ধ করিনি। তারা তাদেরটা বন্ধ করে দিয়েছে বলেই আমাদের আমাদের বিমান যেতে পারছে না। একইভাবে লন্ডনের সাথে অনেক দেশ তাদের এয়ার কানেকটিভিটি বন্ধ করে দিয়েছে, তবে বাংলাদেশ এখনো এ বিষয়টা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি। আমরা বিষয়টিতে তীক্ষ্ণ নজর রাখছি। এবং আমরা সময়মতো সিদ্ধান্তটা জানিয়ে দেব যে আমরা কী করব।’
তবে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের কোভিড টেস্টের ফলাফল দেখানো বাধ্যতামূলক করার যে নিয়ম রয়েছে সেটির ব্যাপারে শক্তভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, ‘ইতিমধ্যে কিছু কিছু এয়ারলাইনস এসব ঠিকমতো অনুসরণ করছিল না। তাদের বিরুদ্ধে আমরা আইনি ব্যবস্থা নিয়েছি। অর্থনৈতিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পর গত কয়েকদিন যাবত এটা পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়েছে। আমরা আশাবাদী যদি আমরা সবাই সচেতন থাকি তাহলে আমাদের দ্বিতীয় প্রকোপটা যেটা আছে প্রভাব বিস্তার করার, এটা আমরা প্রশমন করে আমাদের বিমান চলাচল অব্যাহত রাখতে পারব।’
এদিকে মঙ্গলবার সারা দিন বিমানবন্দরে আসা যাত্রীরা বিমান না ছাড়া পর্যন্ত চরম এক আতঙ্কে সময় কাটিয়েছেন। বিমান ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময়ের অনেক আগে থেকেই বিমানবন্দরে চলে আসেন যাত্রীরা।
Leave a Reply