কুমিল্লার চান্দিনা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি এবং স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীকে দ্রুত এলাকা ছাড়তে আলটিমেটাম দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভোট গ্রহণের পাঁচ দিন আগেই কর্মী সমর্থক নিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে না গেলে হামলাসহ মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকিও দেয়া হচ্ছে। সরকার দলের প্রার্থীর কর্মী সমর্থকদের পক্ষ থেকে এমন হুমকি ধমকি দেয়ার অভিযোগ করা হয়।
মঙ্গলবার ওই পৌরসভার নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী শাহ আলমগীর খান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী শামীম হোসেন সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ করেন। সরকার দলের নেতাকর্মীদের ব্যাপক মহড়া এবং শোডাউনসহ হুমকি ধমকির কারণে এলাকায় চরম ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলেও অভিযোগ করা হয়।
বিএনপির দলীয় প্রার্থী এবং সাবেক মেয়র শাহ আলমগীর খান অভিযোগ করে বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর আমরা প্রচার প্রচারণা শুরু করলে সরকার দলের প্রার্থীর পক্ষ থেকে শুরু হয় হুমকি ধমকি। তাদের অব্যাহত হুমকির মুখে আমরা এলাকার ভোটারদের কাছে যেতে পারছি না, আমাদের পোস্টার ফেস্টুন ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে দেয়া হচ্ছে, প্রচার গাড়িতে একাধিকবার হামলা করা হয়েছে, আমিসহ আমাদের নেতাকর্মীদেরকে এলাকা ছেড়ে দেয়ার জন্য হুমকি ধমকি দেয়া হচ্ছে, আমরা সুষ্ঠু‚ নির্বাচনের কোনো পরিবেশ দেখছি না, এ নিয়ে ভোটারদের মাঝেও চরম আতংক বিরাজ করছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী শামীম হোসেন বলেন, আমার মাঠ খুবই ভালো, আমার ব্যাপক জনসমর্থন দেখে সরকার দলের প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিনিয়তই নির্বাচনের মাঠ এবং এলাকা ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয়া হচ্ছে, নির্বাচনের পাঁচদিন আগে এলাকা না ছাড়লে মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর হুমকি দেয়া হচ্ছে, তাদের হুমকির মুখে আমার কর্মীরা মাঠে কাজ করতে পারছে না।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের দেয়া সুষ্ঠু‚ অবাধ অংশগ্রহণমূলক শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতিতে আমি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অংশ নিয়েছি, এখন দেখছি কমিশনের পক্ষ থেকে তেমন পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে না, নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করার জন্য সরকার দলের প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকরা এসব পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ দলীয় মেয়রপ্রার্থী শওকত হোসেন ভূইয়া বলেন, ওই দুই মেয়র প্রার্থী আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে, আমার নেতা অধ্যাপক আলী আশরাফ এমপি কোনো বিশৃঙ্খলায় বিশ্বাস করে না, আমরাও উনার অনুসারী হিসেবে অরাজকতায় বিশ্বাসী না, আমরা সুষ্ঠু‚ নির্বাচন চাই।
এ বিষয়ে সহকারী রিটার্নিং অফিসার আহসান হাবিব বলেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে একটি সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। প্রার্থীদের যেকোনো অভিযোগ আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখি। বিএনপি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী আমার কাছে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করলে আমি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
উল্লেখ্য, আগামী ১৬ জানুয়ারি এ পৌরসভায় ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
Leave a Reply