কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর শ্যালক ফজর আলীর শাবলের আঘাতে ভগ্নিপতি সামছুর রহমান গাজী সামছু (৬৫) হত্যা মামলার এজাহার ভুক্ত ৪নং আসামী শামীম ফকির (৩২) কে কালিকাপুর বাড়ি থেকে আটক করেছে। হত্যার ঘটনার পর থেকে কালিগঞ্জ থানা পুলিশ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ১৬ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মামলার তদন্তকারী এসআই আব্দুর রহিম, সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত বাকী ফকিরের ছেলে শামীম ফকির কে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এদিকে সামছুর রহমান গাজী সামছুর মৃত দেহ সাতক্ষীরা মর্গ থেকে ময়না তদন্ত শেষে শুক্রবার বিকালে কালিগঞ্জে রঘুনাথপুর গ্রামে থানা পুলিশ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করেন। সন্ধ্যায় জানাযা নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। উল্লেখ্য বোনের ওয়ারেশ সূত্রে জমি জায়গা না পাওয়ায় ভগ্নিপতির সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত হয়ে ফজর আলী এবং আহাদ আলী শাবল দিয়ে ভগ্নিপতি শামসুর রহমানের মাথায় উপযুপুরী আঘাত করলে রক্তাক্ত জখম হয় এবং বোন মাজদা খাতুন কে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়। গত ১৫ সেপ্টেম্বর বেলা দেড় টার সময় কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে শালক কতৃর্ক ভগ্নিপতির মাথায় লোহার রডের আঘাত করলে মারাত্নক রক্তাক্ত জখম হয় তাকে দ্রুত পরিবারের সদস্যরা কালিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষনা করে। নিহত শামসুর রহমান গাজী(৬৫) রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত ও অবের আলী গাজীর পুত্র এবং আহত স্ত্রী মাজদা খাতুন( ৪০)। ঘটনার পর হতে একই গ্রামের মৃত আরশাদ আলী গাজীর পুত্র ঘাতক শ্যালক ফজর আলী গাজী( ৫০) এবং তার ভাই আহাদ আলী গাজী(৩২) মারা যাওয়ার খবর পেয়ে অন্যান্য আসামীরা পালিয়েছে। কালিগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ হালিমুর রহমান বাবু জানান হত্যা ঘটনার পর কালিগঞ্জ থানায় নিহত সামছুর এর পুত্র শাহিনুর রহমান বাদী হয়ে ৬ জন কে আসামী করে কালিগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং—২২। তারিখ—১৫/০৯/২০২২। তিনি আরও জানান পুলিশি অভিযানে হত্যা মামলার একজন আসামী গ্রেপ্তার হলেও মুল আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যহত থাকবে।
শেখ রেজওয়ান আহমেদ কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি ঃ
Leave a Reply