কুমারখালীতে এটিএন বাংলার ক্যামেরা পার্সনকে চোখ বেঁধে পুলিশি নির্যাতন। কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আওয়ামীলীগের দু-গ্রুপের সংঘর্ষের সময় দায়িত্ব পালনকালে এটিএন বাংলার ক্যামেরা পার্সনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসে চোখ বেঁধে নির্যাতন করেছে বলে জানা গেছে। বুধবার ভোরে বাগুলাট ইউনিয়নের শালঘর মধুয়া সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে তাকে আটক করা হয়। নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এটিএন বাংলার ক্যামেরা পার্সন নাজমুস হাসিব।
নাজমুস হাসিব জানান, দায়িত্ব পালনকালে তাকে শালঘর মধুয়া থেকে ডিবিপুলিশ আটক করে কুমারখালী থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে। কুমারখালী থানা পুলিশ তাকে গাড়িতে উঠিয়েই নির্যাতন শুরু করে। পরবর্তীতে থানায় নিয়ে আসার পর একটি রুমে দরজা আটকিয়ে চোখ বেঁধে তাকে হকিস্টিক ও হাতুরী দিয়ে নির্যাতন করে। বর্তমানে তিনি কুমারখালী থানার হাজতে অসুস্থ অবস্থায় রয়েছেন।
পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা অস্বীকার করে বলেন এ জাতিয় কোন ঘটনা ঘটেনি।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বর্তমানে কুমারখালী থানায় সর্বস্তরের সাংবাদিক অবস্থান করছিলেন। এর সঠিক ব্যবস্থা নেয়া না পর্যন্ত সাংবাদিকরা থানা চত্বরে অবস্থান করবেন বলে জানান।
এদিকে সারাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন বেড়ে যাওয়ায় এবং সর্বশেষ কুমারখালীতে এটিএন বাংলার ক্যামেরা পার্সন নাজমুস হাসিবকে চোখ বেঁধে মারধর ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিবৃতি এবং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি’র (বিএমএসএস) -এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি খন্দকার আছিফুর রহমান এবং কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো: সুমন সরদার সহ সকল কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও সাংবাদিক সমাজ।
বিবৃতিতে উক্ত ঘটনার সঠিক তদন্তের ব্যবস্থা করে সাংবাদিক নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত পদক্ষেপ নিতে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
নাহলে সারাদেশে মানববন্ধন কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী প্রদান করা হয়।
Leave a Reply