মানব অপাচারের দায়ে আটক এমপি শহিদুল ইসলাম পাপুলের জামিন আবেদন নাকচ করে দিয়েছে কুয়েতি আদালত। এদিকে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ১৯ নভেম্বর দিন ধার্য করা হয়েছে।
মানব পাচার ও মানি লন্ডারিং নিয়ে তোলপাড় তোলা এমপি পাপুলের ঘটনায় কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের সাবেক ডেপুটি সেক্রেটারি ও সাবেক আইজিপি, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থার সহকারী পরিচালক সুলাইমান আল-ফাহাদ সাক্ষ্য দেয়ার পর কোর্ট পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করে পাপুলকে জেলে পাঠায়।
কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়য়ের সাবেক উপ-সচিব মাজেন আল জাররা এই মামলায় বর্তমানে জেলে আছেন। এখানে উল্লেখ্য, মাজেনের আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুলাইমান আল-ফাহাদকে আদালতে সাক্ষ্য দেয়ার জন্য ডাকা হয়।
এদিন শহিদুল ইসলাম পাপুলের আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন করলে আদালত তা খারিজ করে দেয়।
এদিকে বাংলাদেশেও পাপলুর বিরুদ্ধে দুদকের একাধিক মামলা পরিচালিত হচ্ছে।
দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, তার শ্যালিকার অন্তত ৪৪টি ব্যাংক হিসাবে ১৪৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। অপরাধলব্ধ অর্থের বৈধতা দেয়ার জন্য পাপুল ও তার স্ত্রী ‘লিলাবালি’ নামক একটি কাগুজে প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন বলে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে।
ওই প্রতিষ্ঠানের নামে শুধু এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকেই ৩৪টি এফডিআর রয়েছে বলে জানা যায়। ওই হিসাবে দুই কোটি ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৭ টাকা রয়েছে। এই টাকার কোনো উৎস নেই।
এ ছাড়া সেলিনা ইসলামের নামে ২৯৫টি এফডিআরে ২০ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, জেসমিন প্রধানের নামে ২০টি এফডিআরে ১ কোটি টাকা, পাপুলের ২৩টি এফডিআরে ২ কোটি ১৮ লাখ টাকা, বোনের মেয়ে ওয়াফা ইসলামের নামে ৪১টি এফডিআরে ২ কোটি ২৯ লাখ টাকা রয়েছে।
Leave a Reply