প্রতিযোগিতায় থাকা করোনার ভ্যাকসিনের মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি কার্যকারিতা পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না ও ফাইজারের পাশাপাশি জার্মানির বায়োএনটেকের উদ্ভাবিত প্রতিষেধকে। দুটি ভ্যাকসিনই করোনা থেকে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে সক্ষম। তবে অন্যান্য ভ্যাকসিন থেকে এর দাম কিছুটা বেশি। প্রতি দুই ডোজে সর্বনিম্ন ৪ ডলার থেকে ৩৩ ডলার পর্যন্ত খরচ পড়বে। মডার্নার পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় থাকা অন্যান্য ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা, দাম ও তুলনামূলক বিশ্লেষণ থাকছে এবারের প্রতিবেদনে।
করোনা মহামারির লাগাম টেনে ধরতে আশার আলো দেখাচ্ছে মার্কিন ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মডার্না, ফাইজার, জার্মানির বায়োএনটেক এবং ব্রিটেনের অ্যাস্ট্রাজেনেকা। সবশেষ যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে নিজেদের উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে মডার্না।
আরএনএ টাইপের মডার্নার ভ্যাকসিনের দুই ডোজের ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকারিতা পাওয়া গেছে। মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এটি ৬ মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে। মডার্নার ভ্যাকসিনের দাম পড়বে ৩৩ ডলার।
ভাইরাল ভ্যাক্টর টাইপের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকার উদ্ভাবিত করোনার ভ্যাকসিনের দুই ডোজের কার্যকারিতা পাওয়া গেছে ৬২ থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত। ফ্রিজে এটি স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেই সংরক্ষণ করা যাবে। এটির দাম পড়বে ৪ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪০০।
ফাইজার ও জার্মানির বায়োএনটেকেরও প্রতি দুই ডোজের ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকারিতা পাওয়া গেছে। এটি সংরক্ষণ করতে হবে মাইনাস ৭০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায়। আরএনএ টাইপের এই ভ্যাকসিনের দাম পড়বে ২০ ডলার।
প্রতিযোগিতায় থাকা রাশিয়ার গ্যামেলিয়া ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত স্পুটনিক ফাইভ ভ্যাকসিনের প্রতি দুই ডোজে কার্যকারিতা পাওয়া গেছে ৯২ শতাংশ। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যাবে স্পুটনিক ফাইভ। দুই ডোজে খরচ হবে ১০ ডলার।
Leave a Reply