বছর শেষ হওয়ার আগেই বড় বিপর্যয়ের মুখে ক্রোয়েশিয়া। দেশটিতে গতকাল মঙ্গলবার ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রাণ গেছে অন্তত ৭ জনের। ভেঙে পড়া ভবন ও দেয়ালের নিচ থেকে মানুষজনকে উদ্ধারের কাজ চলছে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৪।
ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগ্রেবসহ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে প্রতিবেশী দেশ সার্বিয়া, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা এবং অস্ট্রিয়ার দক্ষিণাংশেও।
ক্রোয়েশিয়ার জাগ্রেবের ৪৬ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। গত সোমবারও এই অঞ্চলেভূমিকম্প হয়। তারপরই আবারও গতকাল কেঁপে ওঠে ক্রোয়েশিয়া।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ১৯ মিনিটের দ্বিতীয় দিনের ভূমিকম্পে এখানকার বেশির ভাগ বাড়িই ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
ক্রোয়েশিয়ার পেত্রিনজা শহর পরিদর্শন করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ প্লেঙ্কোভিচ। সেখানে ১২ বছরের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর পাশে গ্লিনা নামক শহরে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী গ্লিনায় গিয়েছিলেন। এ ছাড়া জাজিনা এলাকার একটি গির্জা ধসে পড়ায় আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।
পেত্রিনজায় ধ্বংসস্তুপের মধ্য থেকে এক নারীরে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। শহরের অদূরে একটি গ্রামের ১০টি বাড়ির ৯টিই ধ্বসে পড়েছে। ২০ হাজার মানুষের বসবাসের শহরটিকে বসবাসের অযোগ্য বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
Leave a Reply