আফ্রিকার দেশ গিনিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলে নিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। রোববার এ ক্ষমতা দখলের পর দেশটির প্রসিডেন্টকে আটক করা হয়েছে। সেইসঙ্গে আফ্রিকার দেশটিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। সোমবার এনডিটিভি এ খবর জানায়।
বার্তাসংস্থ এএফপিকে পাঠানো একটি ভিডিওতে সেনা সদস্যবেষ্ঠিত একজন (সেনা) কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রেসিডেন্টকে আটকের পর সংবাধান বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ ওই সেনা কর্মকর্তা বলেন, গিনির স্থল ও আকাশ সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং সরকার বাতিল করা হয়েছে।
এর আগে আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, গিনির প্রেসিডেন্ট আলফা একটি সোফায় বসে আছেন; তার চারপাশে দাঁড়িয়ে আছেন বেশ কয়েকজন সেনা সদস্য। ভিডিওতে দেখা যায়, তার সঙ্গে কোনো খারাপ আচরণ করা হয়েছে কিনা – এক সেনা তাকে এমন প্রশ্ন করছেন, যার কোনো উত্তর দিচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট।
এর আগে স্থানীয় সময় রোববার দিনের শেষ গিনির সামরিক বাহিনী ‘পরবর্তী নোটিশ না দেয়া পর্যন্ত’ দেশব্যাপী কারফিউ জারি করে।
বিপুল পরিমান প্রাকৃতিক ও খনিক সম্পদ থাকা সত্ত্বেও ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষের দেশ গিনি পৃথিবীর গরীব দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা অনেকটাই নৈমিত্যিক। দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে।
গিনির সামরিক বাহিনীর প্রধান লে. কর্নেল মামাদি দৌমবৌয়া দেশটির রাষ্ট্রিয় টেলিভিশনে হাজির হয়ে অভ্যুত্থানের এ ঘোষণা দেন। এ সময় তার হাতে ছিল গিনির জাতীয় পতাকা। তিনি বলেন, ‘সরকারের অব্যবস্থাপনার কারণে এ অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এক লোকের রাজনীতিকে আমরা আর বিশ্বাস করছি না। আমরা মানুষের রাজনীতিতে বিশ্বাস করি।’ মামাদি বলেন, ‘গিনি সুন্দর। এটা আর ধর্ষণ করার কোনো প্রয়োজন নেই; আমাদের উচিৎ একে ভালোবাসা।’
Leave a Reply