গোমস্তাপুর উপজেলার বোয়ালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামিউল আলম শ্যামল খুলনার এরশাদ শিকদার কে হার মানাতে চলেছে। তিনি এখন আওয়ামিলীগের বিষ ফোঁড়া হয়ে উঠেছে । সে একের পর এক আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ঘটনার সূত্রপাত
সে প্রথমে বোয়ালিয়া বালিকা বিদ্যালয়ে কমিটি গঠন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষক আশরাফুল হক কে তার মাথায় চিয়ার তুলে মারতে উঠে। এবং পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক আশরাফুল হক গোমস্তাপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন যার নং ৩৯২ – তারিখ ০৯/ ০৮/ ২০২১।এরপর গত তেইশ আগষ্ট ২০২২ বোয়ালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ ০৯ ওয়ার্ড সভাপতি শাহরিয়া হোসেন (অরুপ) কে নিজ মাস্তান বাহিনি দিয়ে কাওয়াভাষা গ্রামে গিয়ে মারধর করে। তারপর অরুপ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিজ্ঞ আদালতে বাদি হয়ে মামলা করেন যার মামলা নং ৩৩৬ সি / ২০২২( গোমঃ) আদালতে মামলা করার পর মামলা তুলে নেয়ার জন্য গত তিন অক্টোবর ২০২২ সকাল দশ টায় বোয়ালিয়া কাউন্সিল বাজারে আশরাফুল মুদি দোকানের সামনে গেলে শ্যামল,তার ক্যাডার সুপার, শফিকুল ইসলাম, ফারিকুল সহ আরও অনেকে মিলে মামলার বাদি অরুপ কে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে। না হলে তোকে জানে মেরে ফেলবো। তারপর শাহরিয়ার হোসেন অরুপ প্রান ভয়ে নিজের জীবনের নিরাপত্তার জন্য গোমস্তাপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন যার নং ১০৮৭ তারিখ ২২/ ০৯/ ২০২২। এখানে শেষ না সে নিজেকে এতটা ক্ষমতাশালী মনে করে একটি স্কুলের নাম ফলক পাল্টে ফেলার অভিযোগ হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট। বোয়ালিয়া বি এল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে একটি গেট নির্মান করেন তৎকালীন চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান লালু সৌজন্যে তার নাম লিখা ছিল। তার নাম টা মুছে ফেলার জন্য বোয়ালিয়া বি এল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক চাপ প্রয়োগ করে। তার কথা না শুনলে
কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে প্রধান শিক্ষক এনামুলকে । পরে ওই শিক্ষক তাকে চ্যালেঞ্জ করলে তারসাথে মিমাংসা করে ফেলে শ্যামল। এরপরে আলমপুর মিনি বাজারে পোল্ট্রি দোকানদার কে মারধর করে তার বসতবাড়ি জমি দখল করার জন্য হুমকি দেয়। তারভয়ে নিজ ভিটা ছেড়ে বার্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছে আশরাফুল । এরপর সে তাদের পারিবারিক বিরোধে তার নিজের চাচি নায়েমার গালে চড় মারার অভিযোগ রয়েছে।
এরপরে ষড়গ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান (গান্ডু) কে স্কুলের কমিটি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে তার বাড়িতে ডেকে শ্যামল বলে তাকে স্কুলের সভাপতি করতে হবে
তিনি অপারগতা প্রকাশ করলে তাকে ও চড় মারতে উঠে এবং সেখানে শ্যামলের মা উপস্থিত হয়ে কোন রকম প্রধান শিক্ষক কে রক্ষা করে তাকে বাড়ি বের করে দেন। পরে গোপনে ভুল শিকার করে আপস মিমাংসা করে ফেলে শ্যামল। সর্বশেষ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কাশিয়াবাড়ি আলীম মাদ্রাসায় ম্যানেজিং কমিটির নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে মিটিং চলাকালে কথা কাটাকাটি হলে শ্যামল উত্তেজিত হয়ে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য শিক্ষক প্রতিনিধি অহিদুজ্জামান নিপু
কে কিল ঘুষি মারতে থাকলে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। সেখানে তাকে উদ্ধার করে গোমস্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে তারপর রোগীর অবস্থা আশঙ্কা জনক হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। যা স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরে আলোরণ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর গোমস্তাপুর থানায় গত ২৭ ফেব্রুয়ারি
সাবিহা খাতুন বাদি হয়ে এজাহার দিলে অজানা কারনে এজাহার টি এখন পর্যন্ত নথি ভুক্ত হয়নি। এ বিষয়ে গোমস্তাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহবুবুর রহমান বলেন মহামান্য আদালতের মামলা টি তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
আর তার নামে দুটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) পূর্বের ওসির সময় হয়েছে সবগুুলি আমরা গভীর ভাবে দেখছি। আইন সবার প্রতি সমান। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলে।
একের পর এক ঘটনার বিষয়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ বোয়ালিয়া ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক ইউনুস আলী তার বক্তব্যে বলেন শ্যামল দলের কোন পদে নেই। তার এহেন কর্মকান্ডের বিষয়ে কিছু বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এদিকে এসবের বিষয়ে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আপনারা যা পারেন লিখেন। আর কিছু বলার নাই। এদিকে সচেতন সমাজের দাবি তার একের পর এক কর্মকান্ডে বিভিন্ন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সব কিছু ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান তারা
Leave a Reply