গোপনে ভাবির গোসলের ভিডিও ধারণ এবং ভিডিও ফাঁসের ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ। মুমূর্ষকর এই অভিযোগের ভিত্তিতে পাইগাছা থানায় এইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযুক্ত সমীরণকে ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করা হয়েছে।
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজ শফী বলেন,‘বুধবার ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। এরপর আসামি সমীরণ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে, জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’
উক্ত মামলার এজহারে বলা হয়, সেই ভুক্তভোগী নারীর স্বামী ডুমুরিয়া থানার হেতালবুনিয়া এলাকায় একটি মুরগির ফার্মে কাজ করেন। আর তার বাড়িতে গোত্রীয় সম্পর্কের ভাই সমীরণ মণ্ডলের আসা যাওয়া ছিল। সেই সূত্র ধরেই তিনি ভাবির সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন সমীরণ। সুযোগ বুঝে গত বছরের ৪ মে গোপনে ভাবির গোসলের ভিডিও ধারণ করেন সমীরণ। এরপর ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে, তাকে একাধিকার ধর্ষণ করেন। ভিডিও ডিলিট করার শর্তে আবারও ধর্ষণ করেন এবং দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। ওই নারীকে বাড়ি থেকে বের করে দেন তার স্বামী।
এমন পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগী নারী বুধবার (৩ মার্চ) রাতে পাইকগাছা থানায় নারী নির্যাতন ও দমন আইনে মামলা করেন। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ওই মামলায় আসামিকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
Leave a Reply