বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে প্রথমবারের মতো চীনা শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠককে কেন্দ্র করে হোয়াইট হাউজের সামনে জড়ো হয়েছেন তিব্বতি, উইঘুর সম্প্রদায় ও হংকংয়ের নির্যাতিত জনগণের প্রায় কয়েক শ প্রতিনিধি। এ সময় চীনের বিরুদ্ধে নানান স্লোগান দেন তারা। এ খবর প্রকাশ করেছে দ্য জেনেভা ডেইলি ডটকম।
গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কায় অনুষ্ঠিত হয়েছে উভয় দেশের উচ্চপর্যায়ের এই বৈঠকটি। যা আজও হবে। তার আগেই গত বুধবার হোয়াইট হাউজের সামনে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। তারা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, চীনে ধর্মীয় এবং অন্যান্য বাক-স্বাধীনতা দমনের অপরাধে চীনা প্রতিনিধিদের ওপর যেন চাপ প্রয়োগ করা হয়।
তুরসেনে জিয়াউদুন নামের এক নির্যাতিতা উইঘুর নারী তার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে বলেন, তারা (চীনা প্রশাসন) প্রথমে আমার শরীরে থাকা কাপড় ছিনিয়ে নেয়। এরপর আমার কানের দুল ছিড়ে ফেলা হয়। এর ফলে কান থেকে রক্ত বের হতে থাকে। পরের ঘটনাগুলো আরো ভয়ঙ্কর। টানা নয় মাস ধরে আমাকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করা হয় এবং পশুর মতো নির্যাতন চালিয়েছে তারা।
আমি খুবই সৌভাগ্যবতী। কারণ, আমার স্বামী আমাকে সেখান থেকে রক্ষা করে এনেছে। ক্যাম্পে থাকা অন্যান্যরা এখনো অত্যাচারের শিকার হচ্ছে। তাদের দ্বারা জোরপূর্বক শ্রম খাটানো হয়। যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণ নিয়মিত ঘটনা। তাই আমি চাই চীনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, যোগ করেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবারের বৈঠকে গণমাধ্যমের সামনেই বাকবিতণ্ডায় জড়িয়েছে দুই পক্ষ। চীনা কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অন্য দেশগুলোকে চীনকে আক্রমণ করার প্ররোচণা দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন। আর মার্কিন প্রশাসনের দাবি, চীনারা ক্ষমতাপ্রদর্শনের উদ্দেশ্য নিয়েই বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন।
সিএনএন জানিয়েছে, বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের অংশ হিসেবে ছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এবং দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান। অন্যদিকে, চীনের পক্ষে ছিলেন দেশটির সর্বজ্যেষ্ঠ পররাষ্ট্র কর্মকর্তা ইয়াং জিয়েচি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
Leave a Reply