জগন্নাথপুর উপজেলার চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের ইসমাইল চক ( পাড়া শিমুল) গ্রামের শতবর্ষী বৃদ্ধ হাজী ওয়াজিদ উল্যাহ এর পরিবারের মালিকানা ভূমি দখলের পায়তারা করছে একই গ্রামের প্রভাবশালী বাবুল মিয়া ও তার পিতা ছানফর উল্যাহ। নিরীহ হাজী ওয়াজিদ উল্যাহর পরিবার পক্ষ থেকে তাদের সম্পত্তি রক্ষায় গত ২০ ডিসেম্বর হাজী ওয়াজিত উল্যাহর পুত্র মোঃ সুরুজ মিয়া বাদী হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত জগন্নাথপুর সুনামগঞ্জ মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করেন জগন্নাথপুর উপজেলাধীন প্রানদেব কাপন মৌজার, এস এ খতিয়ান নং ৭ ও ৩০ শের বিভিন্ন দাগে উক্ত ভূমি ভিন্ন ভিন্ন তারিখ ও সনে বাদীর দাদা ছবর উল্লাহ দলিল মূলে ক্রয় করেন। বাদীর দাদা ছবর উল্লাহ মৃত্যুর পর তার পিতা ও চাচারা পারিবারিক ভাবে ভোগ দখল করিয়া আসিতেছেন। বর্তমানে বাদীর পিতা অসুস্থ হওয়ার কারনে তিনি তার পিতার সকল সম্পত্তি দেখাশুনা ও রক্ষনা বেক্ষন করিয়া আসিতেছেন। হঠাৎ করে বাবুল মিয়া ও তার লোক জন উক্ত ভূমি দখল করার পায়তারায় লিপ্ত থাকিয়া গত ১৯ ডিসেম্বর বিবাদীগন অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন লোক প্রাণ নাশক অস্ত্রাদি ও মিস্ত্রি নিয়া দেওয়াল নির্মানের কাজ আরম্ভ করিতে চাইলে আমরা বাঁধা প্রদান করি। এতে বাবুল মিয়া ও তাদের লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে সুরুজ মিয়াকে হত্যা করে তাদের মালিকানা ভূমি দখল করার চেষ্টা করে। সুরুজ মিয়ার চিৎকারে মামলার স্বাক্ষীগনসহ এলাকার লোকজন ঘটনা স্থলে আসায় বাদীর প্রাণ রক্ষা পায়। মোঃ সুরুজ মিয়া জানান, আমি মামলা দায়ের করতে সুনামগঞ্জ আদালতে গিয়েছি এমন খবর পেয়ে বাবুল মিয়া ও তার পিতা ছানফর উল্যাহসহ তাদের লোকজন আমাদের মালিকানা ফিশারীতে মিশিন দিয়ে পানি সেচ করে প্রায় ২ লক্ষ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। মোঃ সুরুজ মিয়ার স্ত্রী মোছাঃ দিলারা বেগম জানায়, আমার স্বামী বাড়িতে না থাকায় বাবুল মিয়া আমাদের ফিসারির মাছ লুটপাট করে নিতে চাইলে আমি বাধা দিলে বাবুল আমাকে অস্ত্র দেখিয়ে হত্যার হুমকি দেয় তাই আমি প্রানের ভয়ে বাধা প্রদান করতে সাহস পায়নি। আমার স্বামী সহজ সরল ও নিরীহ লোক, এমন সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিবাদীগন আমাদের সম্পত্তি দখল করতে সব সময় আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকী দকমী দিয়ে যাচ্ছে। বিবাদীদের ভয়ে বর্তমানে আমাদের পরিবার চরম নিরাপত্তা হীনতার মধ্যে রয়েছি। আমার স্বামীসহ পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তায় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
Leave a Reply