হয়রানীর আশংকায় ২০২২সালে জগন্নাথপুর থানায় জিডি করেন উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের জহিরপুর গ্রামের হারুনুর রশীদের পুত্র আল আমিন। জিডি নং ৪৪৯, তাং ১০/০৬/২০২২ইং।
জিডিতে উল্লেখ করেন, জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের জহিরপুর গ্রামে সিরাতুল আম্বিয়া টিপু গংদের সাথে একই গ্রামের দ্বীনুল ইসলাম বাবুল গংদের মধ্যে মামলা মোকাদ্দমা চলমান রয়েছে। সিরাতুল আম্বিয়া টিপুর দায়েরকৃত মামলায় স্বাক্ষী করা হয় আল আমিনকে। সিরাতুল আম্বিয়া টিপুর দায়েরকৃত মামলায় স্বাক্ষী দেয়ায় প্রতিপক্ষ দ্বীনুল ইসলাম বাবুল পক্ষের লোকজন আল আমিন ও তার পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি সহ বিভিন্নভাবে হয়রানী করার ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে আল আমিন জগন্নাথপুর থানায় জিডি করেন। জিডিতে জহিরপুর গ্রামের মৃত ওয়াজিব উল্ল্যার ছেলে দ্বীনুল ইসলাম বাবুল, সৈইফ উল্ল্যার ছেলে আজিজুর রেজা চৌধুরী আনা, মৃত মছদ্দর আলীর ছেলে সাজ্জাদ মিয়া, সিরাজ আলীর ছেলে সৈয়দ এনামূল, মৃত আওয়াজ মিয়ার ছেলে বাদশা মিয়া, মৃত মছদ্দর আলীর ছেলে সুয়েবুল হক শাহনাজ, মৃত মছকন্দর আলীর ছেলে ফখরুল ইসলাম, মৃত আবাব মিয়ার ছেলে লাভলু মিয়াকে বিবাদী করা হয়। আল আমিন জানান, এর পর থেকে প্রতিপক্ষ আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকজনদের হয়রানী করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় নয়াবন্দর বাজারের ভাড়াটে বসবাসকারী আব্দুল জলিল নামের এক ড্রাইভারকে দিয়ে আমার বিরুদ্ধে হয়রানীর উদ্দেশ্যে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে। আমি একজন গরীব অসহায় লোক। অভিযোগের বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন জানাই।
আব্দুল জলিলের দায়ের করা অভিযোগে সূত্রে জানাযায়, গত ১১ জুন দুপুর ২টায় তার মেয়ে কাজে যাওয়ারকালে জহিরপুর মক্তব এলাকায় পৌছামাত্র আল আমিন তার মেয়েকে কু প্রস্তাব দেয়। কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আল আমিন তার মেয়েকে ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে তার মেয়ে জহিরপুর গ্রামের লুদনের বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়।
সরেজমিনে গিয়ে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মামলার বাদি আব্দুল জলিল জানান, আমার ৩ ছেলে ও ৬ মেয়ে। আল আমিন নামের একটি ছেলে আমার মেয়েদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। গত ১২ জুলাই আমার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে কাজে যাওয়ার পথে আল আমিন কুপ্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ঈদগাহ থেকে দৌড়াইয়া লুদন মিয়ার বাড়িতে নিয়ে তুলে। পরবর্তীতে আমি নয়াবন্দর বাজার কমিটির কাছে বিচার প্রার্থী হই। বাজার কমিটি আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দিলে আমি থানায় অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের স্বাক্ষী জহিরপুর গ্রামের মৃত হুনাম উল্ল্যার ছেলে লুদন মিয়ার নিকট মুঠোফোনে ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার জানামতে এধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে ঐদিন সন্ধ্যায় জলিলের স্ত্রী আমাকে বিষয়টি অবগত করেন।
এ বিষয়ে থানার উপ-পরিদর্শক জিয়া উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
Leave a Reply