চাঁপাইনবাবগঞ্জে টাকা ধার নিয়ে সেই টাকা দিয়ে জমি ক্রয়-বিক্রয় করে অংশীদারদের ভাগ না দেয়া ও টাকা পরিশোধ না করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে এক জমির দালালের বিরুদ্ধে। এমনকি এনিয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে বক্তব্য নিতে গেলে সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন ও,২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রাণে মেরে ফেলার আল্টিমেটাম দিয়েছে,ওই দালাল। নিজের নিরাপত্তা ও টাকা ফেরতের দাবিতে থানায় এজাহার ও লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাংবাদিক ও জমি ক্রয়-বিক্রয় দলের প্রতারণার শিকার ভুক্তভোগী।
জানা যায়,দীর্ঘদিন ধরেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় নিজেকে বড় মাপের ক্যাডারের মূল হোতা পরিচয়ে জমি কেনা-বেচার দালালি করেন,চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার আজাইপুর এলাকার মৃত আরেজ আলীর ছেলে জিয়াউর রহমান জিয়া (৪৫)। এরই সূত্র ধরে জিয়ার সাথে পরিচয় হয় সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের জামতলা গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে মো. মজিবুর রহমানের (৫৩) সাথে।
স্থানীয় বাসিন্দা,মামলার বাদি,নথি ও থানা সূত্রে জানা যায়,দালাল জিয়া ও মজিবুর রহমানসহ তিনজন মিলে একটি দল গঠন করে সমানা হারে টাকা ভাগবাটোয়ারা করার শর্তে মাটির ব্যবসা শুরু করে। এবাবদ জিয়া মজিবুর রহমানের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা ধার নেয়। পরে চুক্তিবদ্ধ থাকা একটি জমি বিক্রি করে ১২ লাখ টাকা লাভ হয়। এ টাকা মজিবুর রহমানকে না দিয়ে একায় আত্মসাৎ করেন জিয়া প্রতার।
ভুক্তভোগী মজিবুর রহমান বলেন, ধারের ১ লাখ টাকা ফেরত ও ১২ লাখ টাকা লাভের অংশ চাইলে নানারকম টালবাহানা শুরু করে জিয়া। এমনকি গত ২০ দিন থেকে ফোন রিসিভ করাও বন্ধ করে দেয়। এনিয়ে তার সাথে সরাসরি দেখা করতে চাইলেও সে দেখা করতে রাজি হয়না। এমনকি উল্টো আমাকে নানরকম ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। তাই বাধ্য হয়েই থানায় অভিযোগ দিয়েছি নিজের নিরাপত্তার জন্য।
এনিয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে যাওয়ায় প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে দৈনিক সরেজমিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি এসএম রুবেলকে। পরে তিনি নিজের নিরাপত্তা চেয়ে ও প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।
এবিষয়ে সাংবাদিক এসএম রুবেল বলেন,জমির দালালী করে জমির ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে প্রতারণা ও গণহারে সুদের টাকা লেনদেন একাধিক চেক রেখে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ রয়েছে জিয়ার বিরুদ্ধে। মজিবুর রহমানের টাকা আত্মসাৎ নিয়ে সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে তার কাছে গেলে আমাকে হত্যার হুমকি দেয় প্রকাশ্যে দিবালোকে। জমির দালালী ছাড়াও জিয়া তার এলাকার হতদরিদ্র খেটে-খাওয়া দিনমজুর শ্রেণীর মানুষকে চড়া সুদের ফাঁদে আটকে ঋণ প্রদান করে। এনিয়ে অনেকেই নিঃস্ব হয়েছে তার কারনে,এছাড়াও গোপন সূএে জানা যায়,নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মহিলাকে,বিদেশে যাওয়াই ৩ লক্ষ টাকা ধার দেয়,এখন বর্তমান তার উপর ৮ লক্ষ টাকা দাবি করে তাকে প্রতিনিয়ত হুমকির মধ্যে রেখেছে।
এনিয়ে জেলার একটি প্রেসক্লাবের সভাপতি বলেন,সাংবাদিক সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে এমন প্রাণনাশের হুমকির শিকার হওয়ার ঘটনাটি অত্যান্ত দু:খজনক ও উদ্বেগের। আমরা আশা করি,তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন,তার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে দ্রুত।
বিস্তারিত আসছে তার বিরুদ্ধে আরো একাধিক তথ্য নিয়ে পর্ব
Leave a Reply