স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি বলেছেন, “এই করোনা সংকটকালে দেশের স্বাস্থ্যখাত করোনা মোকাবেলা করার পাশাপাশি অন্যান্য চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রেখেছে। একদিকে কোভিড নিয়ন্ত্রণ করতে হচ্ছে অন্যদিকে নন-কোভিড চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধি করা নিয়েও কাজ চলছে।
ইতোমধ্যেই ৮ বিভাগে ৮টি উন্নত মানের ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ কাজের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। দেশের সকল হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজকে ৫ হাজার বেডে উন্নীত করা হচ্ছে। একইভাবে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটকে ৭০০ শয্যা থেকে খুব শীঘ্রই ১২০০ শয্যায় উন্নীত করা হচ্ছে। সবই করা হচ্ছে মানুষের চিকিৎসা সেবায় সুবিধা বৃদ্ধি করার জন্যই।
আজ ২২ অক্টোবর, সকালে রাজধানীর আগারগাঁওস্থ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের নবনির্মিত কার্ডিয়াক ক্যাথল্যাব জোন-২ এর শুভ উদ্বোধন শেষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, এমপি।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী করোনা মোকাবেলায় সরকারের সফলতা তুলে ধরেন ও চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, নার্সদের ধন্যবাদ জানান।
করোনা মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে করোনা ভ্যাকসিন আনা প্রসঙ্গে জানান, “এখন পর্যন্ত বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা কোনো দেশকে ভ্যাকসিনের স্বীকৃতি দেয়নি। যখনই কোনো দেশ স্বীকৃতি পাবে আমরা সবার আগে সেটি দেশে নিয়ে আসবো। ভ্যাকসিন আনতে সরকার অন্যান্য দেশের সাথেও আলোচনা অব্যাহত রেখে চলেছে। ভ্যাকসিন অনুমোদিত হলে আমাদের দেশে আনতে কোনো বিলম্ব হবে না।”
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন এর সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, স্বাচিপ এর মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজসহ অন্যান্য বক্তারা।
Leave a Reply