নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দামে নাকাল দেশের নিন্ম ও মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষ। কম মূল্যে পণ্য কিনতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা টিসিবির লাইনে দাঁড়াচ্ছেন নানান শ্রেণির মানুষ। তারপরও সিরিয়াল পেয়েও অনেকে ফিরছেন খালি হাতে।
এরমধ্যেই টিসিবির পণ্য নিয়ে নিজেদের ব্যবসা চালানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতি। শনিবার (১১ মার্চ) সংগঠনের ৩৪তম কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় এই দাবি জানান রেস্তোরাঁ মালিকরা।
গত কয়েক মাসে দেশে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ভোজ্যতেল, পিঁয়াজ, ডাল,চিনিসহ বেশির ভাগ নিত্যপণ্যের দাম। এই অবস্থায় সরকার টিসিবির মাধ্যমে গত কয়েক মাস ধরেই নিয়মিত নিত্যপণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। এর ফলে দেশের স্বল্প আয়ের মানুষের ভরসার জায়গা হয়ে উঠেছে টিসিবি।
এই যখন অবস্থা তখন হঠাৎ করেই এমন দাবি জানালেন রেস্তোরাঁ মালিকদের সংগঠন। তাদের দাবি, করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন। এরমধ্যে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি এই খাত আরও বিপর্যয়ে পড়েছে।
সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে এবার তারা টিসিবি’র পণ্য চান। হোটেল-রেস্তোরাঁ মালিকদের দাবি এই খড়গ থেকে পরিত্রাণ পেতে টিসিবির পণ্য দেওয়া হলে অনেকে টিকে থাকতে পারবেন।
ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) ভবনে অনুষ্ঠিত এ সভায় দেশের বিভিন্ন এলাকার রেস্তোরাঁ মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, ‘করোনার সময়ে আমাদের যে লোকসান হয়েছে, সেটা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক উর্ধ্বগতি আমাদের থমকে দিয়েছে। লোকসান গুনতে হচ্ছে। আমরা আর টিকতে পারছিনা’।
ইমরান বলেন, এ খড়গ থেকে আমাদের পরিত্রাণের জন্য টিসিবির মাধ্যমে পণ্য দেওয়া দাবী জানাচ্ছি সরকারের কাছে। তাহলে অনেকে টিকে থাকতে পারবেন। ন্যায্য মূল্যে পণ্য পেলে তাদের খরচ কিছুটা পোষাবে।
সভায় সংগঠনের সভাপতি ওসমান গনি, সহসভাপতি শাহ সুলতান খোকন, সহসভাপতি এম রেজাউল করিম সরকার রবিন, সমিতির প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন, প্রথম যুগ্ন মহাসচিব ফিরোজ আলম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ আন্দালিব, কোষাধ্যক্ষ তৌফিকুল ইসলাম খানসহ দেশের বিভিন্ন ইউনিটের রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply