ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম ঢাকা মহানগরীর স্থায়ী চেকপোস্টের পাশাপাশি পুরোদমে অস্থায়ী চেকপোস্ট পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছেন। ফ্লাইওভারগুলোতে ওঠা-নামার জায়গায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, গাড়ি ও মোটরসাইকেল চুরি প্রতিরোধে প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়া যেতে পারে। গাড়ি ও মোটরসাইকেল ট্র্যাকিং সিস্টেমের আওতায় এলে চুরি অনেকাংশে কমে যাবে।
রোববার (১৮ অক্টোবর) রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে অনুষ্ঠিত ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় তিনি এমন নির্দেশনা দেন। এসময় ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার, উপ-কমিশনারসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) ও সাসপেক্ট আইডেন্টিফিকেশন অ্যান্ড ভেরিফিকেশন সিস্টেমের (এসআইভিএস) মতো সফটওয়্যার হালনাগাদ করে চোর-ছিনতাইকারীদের তালিকা প্রস্তুত করে তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিজ্ঞানসম্মত তদন্ত করুন। এমন কোনো অপেশাদার আচরণ করবেন না যাতে আপনার ব্যক্তিগত দায় চলে আসে।
এ সময় কিশোর গ্যাংয়ের ব্যাপারে অপরাধীদের চিহ্নিত করে তাদের অবস্থান, গতিবিধি, ইভটিজিং ও মাদকসেবনের স্থানগুলো নজরদারির মধ্যে আনার জন্য বিট অফিসারদের নির্দেশ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে সংশ্লিষ্ট বিট অফিসারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেপ্টেম্বর মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভায় শ্রেষ্ঠ অপরাধ বিভাগ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে গুলশান বিভাগ, শ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা বিভাগ নির্বাচিত হয়েছে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ ও শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক বিভাগ হিসেব নির্বাচিত হয়েছে ট্রাফিক লালবাগ বিভাগ।
নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরির প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, থানার প্রতিটি বিটে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সচেতনতামূলক সমাবেশ করা যেতে পারে। এসব সমাবেশে নারীদের কাছ থেকে তাদের সমস্যা সম্পর্কে জানতে হবে এবং করণীয়র বিষয়ে তাদের সুপারিশসহ বিবেচনায় নিতে হবে। নারী নির্যাতন ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধের কারণ মাদক উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুধু অধিক পরিমাণ মাদক উদ্ধার করলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। মাদকসেবীদের চিহ্নিত করে তাদের মাদকসেবন থেকে ফিরিয়ে আনতে পারলে মাদকসেবী কমার সঙ্গে সঙ্গে মাদকও কমে যাবে।
জিডি ও মামলা মনিটরিং বিষয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে তিনি বলেন, থানায় জিডি ও মামলার ক্ষেত্রে ডিএমপি সদরদপ্তর থেকে সেবা প্রত্যাশীদের ফোন করলে পুলিশের সেবার মান সম্পর্কে জানতে চেয়ে শতকরা ৯৫ শতাংশের বেশি মানুষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। এটা একটি ভালো দিক। এটা ধরে রেখে আরো ভালো সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
এছাড়া ঢাকা মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন পদমর্যাদার ৮৭ জনকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।
Leave a Reply