ময়মনসিংহের নান্দাইলে কলেজছাত্রীর সঙ্গে আব্দুল কাইয়ুম (৩২) নামে এক পুলিশ সদস্য অসামাজিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার চর বেতাগৈর ইউনিয়নের চরউত্তরবন্দ গ্রামের আব্দুল মন্নাছের বাড়ি থেকে তাদের হাতেনাতে ধরে স্থানীয়রা।
আটক আব্দুল কাইয়ুমের বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলার। তিনি নেত্রকোনার খালিয়াজুরি থানার লেপসিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বলে স্বীকার করেছেন। তিনি নান্দাইল থানায় কনস্টেবল হিসেবে কাজ করেছেন বলেও জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে নান্দাইল উপজেলার চর বেতাগৈর ইউনিয়নের চর উত্তরবন্দ গ্রামের আব্দুল মন্নাছের বাড়িতে যান আব্দুল কাইয়ুম। দীর্ঘ সময় পার হলেও পুলিশ সদস্য বাড়ি থেকে বের না হওয়ায় এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। পরে এলাকাবাসী খোঁজ-খবর নিতে মন্নাছের বাড়িতে যান। মন্নাছের ঘরে কনস্টেবল কাইয়ুমকে কলেজছাত্রীর সঙ্গে অসামাজিক কাজে মগ্ন অবস্থায় দেখতে পান এলাকাবাসী।
পরে এলাকাবাসী তরুণীর পরিচয় জানতে চাইলে কাইয়ুম তার দ্বিতীয় স্ত্রী বলে পরিচয় দেয়। কিন্তু তরুণী বলেন তার (পুলিশ সদস্য) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে, এখনও বিয়ে হয়নি। ঘটনাটি নিয়ে জনমনে ধোয়াশার সৃষ্টি হলে আর কোনদিন এমন ঘটনা হবে না বলে তরুণী স্থানীয়দের কাছে ক্ষমা চান। এ সময় স্থাসীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে আসে।
থানায় অবস্থান করা অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য আব্দুল কাইয়ুম জানান, তিনি গোপনে ২০১৮ সালে ওই তরুণীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। তবে এ ব্যাপারে দীর্ঘ সময়েও কোনও ধরনের প্রমাণপত্র দেখাতে ব্যর্থ হন।
কর্মক্ষেত্রে থেকে এখানে কি করে আসলেন জানতে চাইলে কাইয়ুম বলেন, ডাক নিয়ে জেলা শহরে এসেছিলাম। পরে নান্দাইলে বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসছিলাম। বিয়ে হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তরুণী বলেন, আমাকে ছেড়ে দেন। আমি বাড়িতে চলে যাব।
এ বিষয়ে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ গণমাধ্যমকে বলেন, ওই পুলিশ সদস্য আর কলেজছাত্রী বিবাহিত। তারা ওই বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বর্তমানে তারা থানায় আছেন বলেও জানান তিনি।
Leave a Reply