চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় অভিযান চালিয়ে আন্তঃজেলা স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের তিন সদস্যকে প্রায় আড়াই কেজি স্বর্ণের গহনাসহ আটক করেছে পুলিশ। এসময় তাদের একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে এই স্বর্ণের গহনা উদ্ধার করা হয়। আটককৃত স্বর্ণালঙ্কারের আনুমানিক মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা।
বুধবার (১৮ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার বন্ডবিল গেইট নামক স্থানে ওই অভিযান চালানো হয়।
পুলিশ জানায়, ভারত সীমান্তবর্তী দর্শনা থেকে একটি স্বর্ণের চালান ঢাকার উদ্দেশে রওনা হচ্ছে চোরাকারবারিরা এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অবস্থান নেয় পুলিশ। দর্শনা থেকে ঢাকাগামী একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-গ ১৭-৮৩৩২) থামতে বলা হয়। প্রাইভেটকারটি না থেমে আলমডাঙ্গার দিকে যাওয়ার চেষ্টার করলে সেটিকে চ্যালেঞ্জ করা হয়। পরে পুলিশের একটি দল প্রাইভেটকারের পিছু নেয়। খবর দেয়া হয় আলমডাঙ্গা থানাকে। আলমডাঙ্গা উপজেলার প্রবেশমুখে অবস্থান নেয় আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ। পরে আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গা সড়কের বন্ডবিল গেইট নামক এলাকায় গাড়িটি আটক করা হয়। গাড়ি তল্লাশি করে ড্রাইভারের সিটের পেছনে বাঁশপাতা রঙের মোটা কাগজে মোড়ানো ৬ টি বান্ডেল পাওয়া যায়। প্রতিটি বান্ডেলের ভিতর হাতের স্বর্ণের বালা, নেকলেস, আংটি, কানের দুল ইত্যাদি বিভিন্ন ধরণের স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়। যার ওজন প্রায় আড়াই কেজি।
পুলিশ আরও জানায়, স্বর্ণ চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকার অপরাধে ওই গাড়ির মালিক চুয়াডাঙ্গার দর্শনার শ্যামপুর গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ বাপ্পী (৩০), চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বনানী পাড়ার রিপন হোসেনের ছেলে সম্রাট হোসেন (২১) ও মাদারীপুর সদর উপজেলার জালালপুর গ্রামের বাবু হাওলাদারের ছেলে সুমন হাওলাদারকে (৩৫) আটক করা হয়।
চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক জানান, আটককৃতরা আন্তঃজেলা স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে। সোনার গহনাগুলো ভারতীয় সীমান্তবর্তী দর্শনা এলাকা থেকে বিনা শুল্কে অবৈধভবে আমদানি করে পাচার করছিল তারা। আটককৃতদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Leave a Reply