নতজানু সরকার একতরফাভাবে সীমান্ত হত্যার কোনও ধরনের প্রতিবাদ না করে উল্টো ‘বৈধতা দিচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, ‘গণবিরোধী সরকার ক্ষমতায় থাকলে যেমন গণতন্ত্র বিপন্ন হয়, তেমনই দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বও বিপন্ন হয়। নতজানু সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের স্বাধীনতা থাকে না সার্বভৌমত্ব থাকে না। কিছুদিন পরপর বাংলাদেশ সীমান্তে আমাদের দেশের মানুষকে হত্যা করছে বিএসএফ, কিন্তু সরকার তার নতজানু নীতির কারণে একটা কড়া প্রতিবাদও করতে পারে না। এই হত্যাকে বৈধতা দিচ্ছেন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন সাহেব।’
সোমবার (২১ ডিসেম্বর) সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বাংলাদেশ সীমান্তে নিরীহ মানুষ হত্যার প্রতিবাদে বিএনপির পূর্বঘোষিত কালো পতাকা ও কালো ব্যাচ ধারণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, ‘এমন একটি সরকারের অধীনে আমরা বসবাস করছি দেশের জনগণ বসবাস করছে, যে সরকার আসলে দেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে বিক্রি করে দিয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের মানসম্মান সম্ভ্রম বলে আর কিছু নেই। এই দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে আজকে আমাদের নিপতিত হতে হয়েছে। অর্থাৎ গত সাড়ে ১২ বছরে প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে সীমান্তে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে যদি সত্যিকারের জনগণের সরকার থাকতো তাহলে কিন্তু এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে ভারতের বিএসএফ কর্তৃক পাইকারিভাবে বাংলাদেশের মানুষকে হত্যার প্রতিবাদ করতে পারতো। যেহেতু এই সরকারের গণভিত্তি নেই তাই তারা অন্যের কাছে নতজানু হয়ে থাকে। নিজের দেশের জনগণের ওপর তারা জুলুম চালায়।’
রুহুল কবির রিজভী আরও বলেন, ‘যারা সরকারের বিরোধিতা করে সমালোচনা করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে নিয়ে যায়, না হয় গুম করে, না হলে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হতে হয়। অথচ অন্য দেশ (সীমান্ত হত্যায় ভারতের প্রতি ইঙ্গিত করে) এত অন্যায় করছে সেখানে কোনও ধরনের প্রতিবাদ নেই, কোনও ধরনের কূটনৈতিক তৎপরতা নেই। তার মানে একটা মেরুদণ্ডহীন নতজানু সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।’
কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন, সহ-সম্পাদক কাজী রওনকুল ইসলাম ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক এজিএম শামসুল হক, ড.কাজী মনিরুজ্জামান মনির, ইসমাইল তালুকদার খোকন, বিএনপি নেতা আহসান ঊদ্দিন খান শিপন, শেখ আব্দুল হালিম খোকন, মাহবুব মাসুম শান্ত, এবিএম আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
Leave a Reply