দুএক সপ্তাহ ধরে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। তীব্র গরমের পর এ বৃষ্টি উপজেলায় এ মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত। ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে উজান থেকে নামছে পাহাড়ি ঢল।
এতে সুনামগঞ্জের প্রধান নদী সুরমাসহ উপজেলার সকল নদনদী ও হাওড়ে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছরও আষাঢ় মাসে এমন আবহাওয়া ছিল। দুএক সপ্তাহর ভারি বৃষ্টিপাতে গেল বছরের মতো এবারো ভয়াবহ বন্যা আতঙ্ক দেখা দিচ্ছে মানুষের মাঝে।
দুএক সপ্তাহের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শুধু সুরমা নদী নয় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত নদী জাদুকাটা, বৌলাই, রক্তি,জগন্নাথপুরের কুশিয়ারা, ডাউকা সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। পাহাড়ি ঢলের পানিতে জেলার তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শক্তিয়রখলা এলাকায় সড়কের প্রায় এক কিলোমিটার প্লাবিত হয়েছে। ফলে জেলা সদরের সঙ্গে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এদিকে নদী ও হাওরের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিম্নাঞ্চলের লোকজন নিরাপদ আশ্রয়স্থল খুজতে শুরু করছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলার স্থানীয় মোহাম্মদ গঞ্জ বাজারে একাধিক লোকজন বলছেন, বিগত তিন মাস যাবত জগন্নাথপুর উপজেলায় তেমন বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টি না হওয়ায় এবছর বোরো ধানের ফলন তেমন ভাল হয়নি। হাওড় রয়েছে পুরো ফাঁকা। এখন বৃষ্টি হওয়ায় খাল বিল নদী পানিতে ভরে হাওড়ে পানি ঢুকছে। এবং নদীতে বাড়ছে পানি।
জগন্নাথপুর উপজেলার জগদীশপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সোবহান বলেন, নদী ও হাওড়ে পানি বাড়ছে। একটানা বৃষ্টিও হচ্ছে মাঝে মধ্যে বজ্রপাতও হচ্ছে। এ জন্য মানুষ ঘর থেকে বের হতে ভয় পাচ্ছেন। এভাবে পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি নামা অব্যাহত থাকলে গেল বছরের মতো বন্যা হওয়ার আতঙ্ক দেখা দিতে পারে। বন্যা আতন্কে মানুষ আগে থেকেই নিরাপদ আশ্রয়স্থল খুজছে।
Leave a Reply