সম্পদশালী ব্যবসায়ী কিংবা সরকারী চাকরিজীবী যুবকদের টার্গেট করে প্রেমের ফাঁদে ফেলে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের মোবাইল কল রেকর্ড ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণের পর ব্ল্যাকমেইল করে বিয়ের দাবি।এরপর নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়েরের ভয় ভীতি ও হুমকি মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়াই হচ্ছে নাটোরের এক যুবতীর পেশা।ইতোমধ্যে সাদিয়া নওশীন নামের ওই যুবতীর ফাঁদে পরে নিঃস্ব হয়েছেন একাধিক যুবক।নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের গালিমপুর গ্রামের বাসিন্দা সাদিয়া নওশীন নামের ওই যুবতীর ফাঁদে পরে বিভিন্ন ধরনের হয়রানীসহ মোটা অংকের টাকা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পরা একাধিক যুবকরা এ অভিযোগ করেছেন।বুধবার সকালে ওই যুবতীর প্রতারণাসহ অপকর্মের ফিরিস্তি তুলে ধরে একাধিক ভুক্তভোগী যুবক ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন,সাদিয়া নওশীন সকল অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছেন তার নিকটাত্মীয়।তাদের সহযোগীতায় একের পর এক অপকর্ম করে যাচ্ছেন সাদিয়া নওশীন। ভুক্তভোগীরা জানান,ওই এলাকায় বসবাসকারী বাগাতিপাড়া উপজেলার গালিমপুর গ্রামের যুবতী সাদিয়া নওশীন ইতোমধ্যে প্রতারনার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি বিচার সালিশ হয়েছে।প্রথমে প্রেমের সম্পর্ক,পরে বিয়ের দাবি,কিছুদিন পরেই সে সাদিয়া নওশীন মিথ্যে
নির্যাতন,অত্যাচারের জন্য মামলা দায়েরের ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়াই তার ব্যবসা।সাদিয়া নওশীন প্রতারণা ফাঁদে পরে হয়রানির স্বীকার গালিমপুর ২নং ওয়ার্ডের ওই গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রব হাওলাদারের ছেলে আল-আমিন হাওলাদার বলেন, মোবাইল ফোনে পরিচয়ের সূত্রধরে সাথীর সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীতে ভয় দেখিয়ে অন্তরঙ্গ মুহুর্তের ছবি তুলে ভিডিও চিত্র ধারণ করে। এরপর সাথী তার সহযোগী নিকটাত্মীয় মাধ্যমে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে ২০২৩ সালের ২ আগস্ট চাঁপ প্রয়োগের মধ্যেই সাদিয়া নওশীন আমার বিরুদ্ধে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় একটি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন।অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই রুমা বেগম একাধিকবার উভয়পক্ষকে থানায় ডেকে সালিশ মীমাংসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।রাজিকুল ইসলাম পাপ্পু বলেন,এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সাদিয়া নওশীনের থেকে রক্ষা পেতে আমি অপরাধ না করেও সরকারী চাকরি বাঁচাতে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করে মিমাংশা করি যেখানে সাদিয়া নওশীন ও তার পিতা একাধিক সালিশা বর্গের উপস্থিতে সালিশ নামাই স্বাক্ষর করেন।এখন সে পুনরায় তার কু কর্মের সোভাকাক্ষী দের নিয়ে বিভিন্ন অপপচার সহ বিভিন্ন গনমাধ্যমে মিথ্যা বানোয়াট নিউজ করে আরো টাকা দাবি করছে।সে ফের বিভিন্ন ও গণমাধ্যমকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে,সাদিয়া নওশীন মাত্র ২০ বছর বয়সে একইভাবে প্রতারণা মাধ্যমে ২০২৩ সালের ২আগস্ট গালিমপুর এলাকার সাহাব উদ্দিন আজাদের ছেলে শরিফ উদ্দিনের সাথে পরকিয়া ছিলো। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে অর্থ আদায় ৬০ হাজার টাকা।ওইসব ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এরপরই প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল এবং প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সাদিয়া নওশীন ও তার নিকটাত্মীয় লোকজন। একাধিক যুবককে নিঃস্ব করেন।উল্লেখিত অভিযোগের ব্যাপারে অভিযুক্ত সাদিয়া নওশীন ও তার নিকটাত্মীয় একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে সংবাদকর্মীর পরিচয় পাওয়ার সাথে সাথেই তারা কোন বক্তব্য দেননা। তবে এলাকার একাধিক মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে,সাদিয়া নওশীনের একাধিক সম্পর্কের কথা।
Leave a Reply