নাটোরের সিংড়ায় পুকুর ও একটি মেহগণি বাগান দখল করেছেন। বাগান সংলগ্ন ভিটায় টিনশেড মেঝে পাকা একটি ঘরও তুলেছেন। বাধা নিষেধ করায় উল্টো জমির মালিক চিকিৎসক বৃদ্ধ মিনহাজুল মিনুকে মারধরের অভিযোগও উঠেছে এলাকার সন্ত্রাসী মোতালেবের বিরুদ্ধে।
এঘটনায় হাজতবাসের পর জামিনে বেরিয়ে ভুক্তভোগি ওই পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
অভিযুক্ত মোতালেবের বাড়ি সিংড়ার বিলদহর গ্রামে। তিনি চামারী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতির দায়িত্বে আছেন। এলাকার মানুষ তাকে মতলেব নামেই চেনেন।
স্থানীয়রা জানান, মতলেব এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসী ও ভূমিদস্যু। নদী দখল, ট্রাক ডাকাতি, গরু চুরিসহ র্যাবের হাত থেকে আসামি ছিনতাইয়ের সাথেও জড়িত ছিলেন তিনি। তার ভয়ে এলাকার মানুষ মুখ খুলতে পারেন না। এছাড়া মাছ চাষের আড়ালে তিনি এলাকার বিভিন্ন অপকর্মের সাথে লিপ্ত।
সম্প্রতি নিজের জমিজমা পরিদর্শনে গিয়ে মতলেবের হামলার শিকার হয়েছেন চিকিৎসক মিনহাজুর মিনু। এই চিকিৎসক গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অবসরপ্রাপ্ত উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ছিলেন।
তিনি চাকরির সুবাদে ২৭ বছর ধরে গুরুদাসপুরে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন।
চিকিৎসক মিনহাজুল মিনু অভিযোগ করেন, সিংড়ার বিলদহরের গুটিয়া গ্রামে তাদের বাড়ি। গ্রামের বাড়িতে রাখালের কাজ করতেন মতলেব। চাকরি শুরুর পর দীর্ঘদিন আগে গুরুদাসপুরে এসেছেন তারা।
প্রায় ৯ বছর আগে ৫০ শতাংশের একটি মেহগণি বাগান সংলগ্ন সাড়ে ৩ বিঘা ধানী জমি চাষাবাদের জন্য মতলেবকে লিজ দিয়েছিলেন। বছর পাঁচেক আগে তার অজান্তে মতলেব ধানী জমিটি কেটে পুকুর তৈরি করেছেন।
তিনি বলেন, ধানী জমিটি পুকুর হওয়ার পর সাড়ে তিনবিঘা জলকরের পুকুরটি ৬০হাজার টাকা বছর ভিত্তিকভাবে ৩ বছরের চুক্তিতে লিজ দিয়েছেন মতলেবের কাছে। কিন্তু লিজের সময় পেরিয়ে গেলেও মতলেব পুকুরটি না ছেড়ে সময় ক্ষেপন করছেন।
উপরন্ত পুকুরের পাশের বাগান সংলগ্ন ভিটাতে ঘর নির্মাণ করে বসবাস করছেন। এছাড়া পুকুরের পাশে আব্দুল কুদ্দুসের একটি পুকুরের পাড়ও কেটে দুই পুকুরের জলকর এক করে ফেলেছেন। এসব বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি মতলেবের হামলার শিকার হয়েছেন।
অভিযুক্ত মোতালেব বলেন, তিনি মাস তিনেকের মধ্যে পুকুরটি ছেড়ে দেবেন।
সিংড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, মামলাটি তদন্তাধিন রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply