শনিবার ০৯ জানুয়ারি রাত ১টায় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সিংড়ার চৌগ্রাম বাসষ্ট্যান্ডে এই ঘটনা ঘটে। এদিকে সিংড়ার চৌগ্রাম ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এর ১কিলোমিটার এলাকার মধ্যে বাস পুড়ে যাওয়ার ঘটনায় রোববার ১০ জানুয়ারি সকাল ১০টায় মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ সভা করেছে মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টায় ঢাকা মেট্রো-ব ১১-৮৩২৪ নম্বরের ‘সিংড়া এলিট’ পরিবহনের একটি বাস চৌগ্রাম বাসষ্ট্যান্ডে রেখে বাড়িতে খাবার খেতে যান ড্রাইভার ও হেলপার। হঠাৎ রাত ১টায় বাসের মধ্যে আগুনের ধোয়া দেখতে পান সিংড়া থানার টহল পুলিশের একটি দল। বিষয়টি ৯৯৯ এ ফোন করে জানানো হলে সিংড়ার ফায়ার সার্ভিস এর একটি দল ঘটনাস্থলে পৌছে আগুন নির্বাপন করলেও বাসের ইঞ্জিনসহ ভেতরের সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এই ঘটনায় সকালে চৌগ্রাম এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ সভা করেন সিংড়ার মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
নাটোর মটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসান ইমাম বলেন, একটি বাস পুড়ে যাওয়ায় শুধু একজন মালিকই ক্ষতিগ্রস্থ হননি। এখানে ড্রাইভার, সুপারভাইজার, হেলপার সহ কয়েকজন কর্ম হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এর পাশেই বাস আগুনে পুড়ে যাওয়ায় বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের চরম অবহেলা। দ্রুতই এই ঘটনায় জড়িতদের আটকে দাবি জানান তিনি।
সিংড়া এলিট পরিবহনের মালিক মো. আনোয়ার হোসেন বাবু বলেন, বাসটি আগুনে পুড়ে যাওয়ায় তার প্রায় দশ লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে। এতে তিনি পথে বসে গেছেন। থানায় সাধারণ ডায়েরির প্রস্তুতি চলছে।
সিংড়া ফায়ার সার্ভিস এর ইনচার্জ মতিউর রহমান বলেন, আগুনের ঘটনাটি তার স্টেশনের পাশে হলেও আগুন গাড়ীতে ছড়িয়ে পড়ার পর তিনি জানতে পেরেছেন। কারণ সরাসরি তার স্টেশনে ফোন না দিয়ে ৯৯৯ এ ফোন করা হেেয়ছে। সেখান থেকে নাটোর ফায়ার স্টেশন পরে সিংড়ার স্টেশনে ফোন করা হয়েছে। এতে মাঝখানে বেশকিছু সময় অপচয় হয়েছে। ফলে পুরো গাড়ীতেই আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
সিংড়া থানার ওসি নুর-এ-আলম সিদ্দিকী জানান, রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। আগুন দেয়ার বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
Leave a Reply