নাটোরের গুরুদাসপুরে মা সেলিনা বেগমকে ব্লেড দিয়ে শ্বাসনালী কেটে হত্যা করায় নিহতের কিশোরী মেয়ে ববি আক্তারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) দুপুরে অভিযুক্তকে হাজির করে নিজ দপ্তরে প্রেস ব্রিফিং করেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা হত্যা ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় গুরুদাসপুর উপজেলার উত্তর নাড়িবাড়ী এলাকার নজরুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা খাতুন এর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় সেলিনা খাতুনের অষ্টম শ্রেণীতে পড়ুয়া ছোট মেয়ে ববি আক্তারের অস্বাভাবিক আচরণ ও অসঙ্গতিপূর্ণ কথাবার্তায় সন্দেহ হয় পুলিশের। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে মাকে ব্লেড দিয়ে শ্বাসনালী কেটে হত্যার কথা স্বীকার করে ববি।
অভিযুক্ত ববি আক্তার পুলিশকে জানায়, ছয় মাস আগে মালয়েশিয়াতে অবস্থানরত খালাতো ভাই রাজবাড়ি জেলার পাংশা উপজেলার হাবাসপুরের আব্দুল আজিজের ছেলে সোহেল রানার সাথে তার বিয়ে হয়। ববি তার মায়ের কাছে স্বামীর জন্যে একটি মোটর সাইকেল কিনে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে ব্যর্থ হওয়ায় মা-মেয়ের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। সোমবার ২২ মার্চ বিকেল পাঁচটার দিকে মায়ের শয়নকক্ষে ঝগড়া ও ধ্বস্তাধ্বস্তির এক পর্যায়ে তাকে ব্লেড দিয়ে শ্বাসনালী কেটে হত্যা করে ববি। এসময় মা সেলিনা বেগমের কাছে থাকা চাবি নিয়ে লকার খুলে সংগ্রহ করা হয় নগদ অর্থ সহ স্বনার্লংকার। পরে ববির ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে লুন্ঠিত প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা মূল্যমানের নয় ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ ১৬ হাজার ৯৬০ টাকা এবং খাটের নীচ থেকে রক্তমাখা ব্লেড উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, নিহত সেলিনা বেগমের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্যে নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গুরুদাসপুর থানায় মঙ্গলবার ২৩ মার্চ হত্যা মামলা দায়ের করে অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান পুলিশ সুপার। প্রেস ব্রিফিংকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ তারেক জুবায়ের, সার্কেল এএসপি মোঃ জামিল আকতারসহ পুলিশের প্রমুখ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply