জমিজমার বিরোধের জেরে মমতা বেগম (৫০) এবং তার ছেলে মুর্শিদ হোসেন (৩২)কে মারপিট করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার ইউনিয়ন ওয়ার্ড আ’লীগের নেতা মজিবর রহমান মজির (৪৬) নামে এক ব্যক্তি সহ তার ছেলে শিশির হোসেন শিবলু (২৩), স্ত্রী ছাবিনা খাতুন (৪৩) ও শ্যালক উমাইল হোসেনে (৩৫) এর বিরুদ্ধে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন। এবিষয়ে মমতা বেগমের স্বামী ও মুর্শেদের পিতা ছইমুদ্দিন বাদি হয়ে শুক্রবার বিকেলে বাগাতিপাড়া মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত মজিবর রহমান মজির উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের ওয়ার্ড আ’লীগের নেতা এবং অভিযোগকারী ছইমুদ্দিনের সহদর ছোট ভাই।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তকিনগর মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
থানা পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পৈত্রিক সম্পত্তির অংশ নিয়ে সরহদ দুই ভাই ছইমুদ্দিন এবং মজিরের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে ছইমুদ্দির অনুপস্থিতিতে শুক্রবার সকালে তার স্ত্রী মমতা ও ছেলে মুর্শেদের সাথে মজিবর এবং তার স্ত্রী ছাবিনার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের মা-ছেলের (মমতা-মুর্শিদ) উপর চড়াও হয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে অভিযুক্ত মজির, শিবলু, ছাবিনা এবং উমাইল। মারপিটের সময় মজিবর রহমান মজিরের হাতে থাকা হাঁসুয়ার আঘাতে ছইমুদ্দির স্ত্রী মমতার মাথার উপরে জখম হয় এবং অন্যরা মুর্শিদকে মাটিতে ফেলে এলোপাতাড়ি মারপিট করে আহত করে। সেসময় তাদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এসে তাদের উদ্ধার করে বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মমতার মাথার জখমে ৫\ টা সেলাই লেগেছে, বর্তমানে তারা সেখানেই চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মহসিন।
এবিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি আ’লীগ নেতা মজিবরের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে সে বলে, তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। কারো সাথে তার কিছুই হয়নি এবং সে বা তার পরিবারের লোকজন কাউকেই মারধর করেনি।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি নাজমুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, উপজেলার পাঁকা ইউনিয়নের তকিনগরের মারপিটের ঘটনায় একটি লিখত অভিযোগ পেয়েছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply