দেশব্যাপী নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবীতে বিগত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনিত মেয়র প্রার্থীদের নেতৃত্বে বৃহষ্পতিব্র (১৮ ফেব্রুয়ারি) বরিশালে জিলা স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ তারা এ কথা বলেন।
সমাবেশে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজ্রি রহমান সরোয়ার বলেন, নিশি ভোটের আগের দিন রাতে পুলিশী ভয় দেখিয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ভোট করেছে সরকার। ৬ সিটি নির্বাচনে ৩১ জন প্রার্ধীকে আহত করেছে। আজ সখা সমাকেশের অনুমতি দিয়েও বিভিন্ন জেলা উপজেলায় বিএনপির নেতৃবৃন্দদের আসতে দেয়া হয়নি সমাবেশে। একদিকে তারা মিটিং করতে অনুমতি দিচ্ছে অন্যদিকে পুলিশ দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে।
তিনি বলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। জনগনের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে ভোটের সুস্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য আরো একবার দেশের জনগনকে জেগে উঠতে হবে।
সমাবেশে ঢাকা সিটি দক্ষিন করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন বলেন, ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাত ধরে ক্ষমতায় এসেছে আওয়ামীলীগ। জনগনের ভোটে আসার সুযোগ নেই বলেই বিচার বিভাগকে প্রভাবিত করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করেছে আওয়ামীলীগ। আমরা পঞ্চদশ সংশোধনী বাতিলের দাবি জানাই এবং নির্দলীয় নিরপক্ষে সরকারের অধীনে নির্বাচন চাই।
ঢাকা সিটি উত্তর করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, দিন দিন জালিম সরকার স্বাভাবিক নির্বাচন হতে দিচ্ছে না। কোন নির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিতে পারছে না। বর্তমান আওয়ামী সরকার বলে তারা দুর্নিতীর সাথে আপোশ করে না কিন্তু তারা দুর্নিতীতে চ্যাম্পিয়ন।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, সমস্ত সিটি নির্বাচনগুলোকে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করার স্বপ্ন দেখছে সরকার। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারেরর অধীনে নির্বাচন চাই, মাফিয়া সরকারের অধীনে নয়।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল বলেন, বিচারবিভাগ আর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর আলাদা কিনা সেটা জানতে চাই। আমরা নির্বাচন কমিশনকে পদত্যাগ চাই এবং নির্বাচন ব্যবস্থায় আমুল পরিবর্তন চাই।
খুলনা সিটি করপোরেশনের নজরুল আসলাম মঞ্জু বলেন, ৬ সিট্কিরপোরেশনের প্রার্থীদের নিয়ে তারেক রহমানের নির্দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ শুরু করেছি আমরা। মাফিয়া সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তাই শেখ হাসিনার অধীনে আর কোন নির্বাচনে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
সমাবেশে কেন্দ্রীয় বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন বলেন, চোর না শেোনে ধর্মের কাহিনী, আজ চোরচোট্টা দিয়ে দেশ চালানো হচ্ছে। সমাবেশস্থলে আসতে আজ পথে পথে বাধা দেয়া হচ্ছে। নেতাকর্মীদের মারধর করা হচ্ছে। ভোলা নেতাকর্মীদের আসতে দেয়া হয়নি। সমাবেশস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ। তারপরও নেতাকর্মীদের দমিয়ে রাখা যায়নি
বিএনপির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, স্বাধীনতার পর কেউ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করেন। স্বাধীনতার সমঢ ছিলাম ৮০ হাজার এখন হয়েছে আড়াইলাখ। আবার যাচাই করে যাদের বাদ দেয়া হচ্ছে তাদের বেশিরভাগই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা। যিনি দেশের মানুষের ভালোবাসা নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন আজ সেই শহীদ প্রেসিডেন্টের পদক কেড়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, ৭১ সালে যুদ্ধ করেছিলাম গনতন্ত্র রক্ষার জন্য। অনেক ত্যাগ তীতিক্ষারমেধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী দেশের মানুষের গর্বের একটি বিষয়, সেনাবাহিনীকে দেশের মানুষকে ভালোবাসতো বিশ্বাস করেতো কিন্তু আজ কাদের সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে আনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, দুশাসনের অবসান হবে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে। জনগেনের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া দুর্বার আন্দোলন হড়ে তোলা হবে।
Leave a Reply