নেত্রকোনার খালিয়াজুরীর মানবিক উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম আরিফুল ইসলাম দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই প্রশাসনিক ও মানবিক কর্মকান্ডে ব্যাপক আলোচিত হয়েছেন। দাপ্তরিক ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সেবায় অভিজ্ঞ সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ সহ সাধারণ মানুষের কাছে তিনি একজন প্রশংসিত কর্মকর্তা।
গত ৫ শে নভেম্বর ২০১৮ ইং যোগদানের মাত্র ৩৩ মাস ১৯ দিনে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সচেতনতার লক্ষ্যে উপজেলার চেহারা পাল্টে দিয়েছেন। সরকারি-বেসরকারি প্রতিটি দপ্তরে মাস্ক ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক ও জনসচেতনতা গড়ে তুলতে মাইকিং সহ বিভিন্ন প্রচার এবং মনিটরিং অব্যাহত রেখেছেন। প্রতিটি দপ্তরে নো মাষ্ক, নো সার্ভিস চালু রেখেছেন। যার ফলে খালিয়াজুরী উপজেলায় নতুন করে কেউ করোনা ভাইরাস রোগে সংক্রমিত হচ্ছেনা।
খালিয়াজুরীর সকল মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সরকারি-বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তরে পৃথক পৃথক আসনের ব্যবস্থা সহ তাদের যেকোন কাজে অগ্রাধিকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। জেলা প্রশাসনের সহায়তায় করোনাকালীন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা যাতে ঝড়ে না পড়ে সেজন্য অনলাইন ক্লাস ব্যবস্থা চালু রাখার জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু কর্নার স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষকে জোর তাগিদ প্রদান করেন। খালিয়াজুরীকে মাদক, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহ-মুক্ত করতে তিনি কঠোর তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন।
এছাড়া বিশেষ করে খালিয়াজুরী উপজেলাকে ভিক্ষুক-মুক্ত করতে নিজ উদ্যোগে ইউএনও কার্যালয় সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও মানবিক সহায়তা বক্স স্থাপন করেছেন। সরকারের সেবা নিতে আসা লোকজন বা বিত্তশালীগণ উক্ত সহায়তা বক্সে স্বেচ্ছায় নগদ অর্থ সহায়তায় প্রদান করায় সেখান থেকে খালিয়াজুরীর ভিক্ষুক সহ করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বা অসুস্থ অসহায় মানুষকে মানবিক সহায়তা প্রদান করে যাচ্ছেন। ইউএনও এস এম আরিফুল ইসলামের এরকম উদ্যোগ যা সর্বমহলে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুক মাধ্যম সহ যেকোনো মাধ্যমে কোন অসহায়-হতদরিদ্র সুবিধাবঞ্চিত মানুষের খবর পেলেই ছুটে যান তিনি। সরজমিন পরিদর্শন করে উক্ত সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলোর প্রাপ্যতা অনুযায়ী সরকারিভাবে (বয়স্ক/বিধবা/স্বামী পরিত্যক্তা/প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিএফ/ভিজিডি কার্ড সহ অন্যান্য) সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন।
এছাড়া ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সরকারিভাবে ভূমি ও ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছেন। তিনি বর্তমান সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বা সরকারি দান-অনুদান সরজমিন পরিদর্শন করে তা শতভাগ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি মনোয়ারা বেগম নামে খালিয়াজুরীর চাকুয়া ইউনিয়নের শতবর্ষী এক মহিলার প্রতি ইএনও’র মানবিক কাজের প্রশংসনীয় সংবাদ বেশ কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে তা জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি গোচর হয়। এতে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ওই শতবর্ষী মহিলা একটি সরকারি ঘর বরাদ্দ প্রাপ্ত হওয়ার পাশাপাশি ইউএনও এস এম আরিফুল ইসলাম সর্ব মহলে প্রশংসিতও হয়েছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম আরিফুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক মাঠ পর্যায়ে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন ও সাধারণ মানুষের সেবা দেওয়া এটা আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য।
Leave a Reply