বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে শংকরচন্দ্র কুরি ছিলেন যুবলীগের সাহসী, ত্যাগী ও সংগঠন প্রিয় কর্মী। গতকাল নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে দলের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এই নেতার খোঁজ খবর নেন ও তার অসুস্থ মায়ের চিকিৎসার সকল ব্যায়ভার দায়িত্ব নিলেন।
সংগঠনের আন্দোলন সংগ্রামের অগ্রভাগে থেকে সভা-সমাবেশ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলা,মামলার শিকার হয়েছেন বহুবার।
শংকরচন্দ্র এর বাবা মৃত ডাক্তার পুলিনচন্দ্র কুরীও ছিলেন একজন ত্যাগী আ,লীগ কর্মী এবং আমৃত্যু আওয়ামী লীগের কর্মী ও সেবক ছিলেন।
শংকরচন্দ্র কুরী বলেন, জোট সরকারের আমলে একাধিক সভা সমাবেশে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছে তার উপর।পৌর আ,লীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু ভাইয়ের সহায়তায় দলের সব আন্দোলনে অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলাম,আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি পিন্টু ভাইয়ের সহযোগিতায় জন্যে। আজ আর কেউ আমাকে চেনে না।
এক সময়ের সেই সাহসী নেতা আর সংগঠন প্রিয় শংকরচন্দ্র কুরী এখন নিঃস্ব। আওয়ামী লীগের সুসময়ে তিনি এখন অনেকটাই পরিত্যক্ত।
গত (৪ঠা এপ্রিল) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পেইজবুক লাইভে এসে ১২ মিনিট ১২ সেকেন্ডের এক ভিডিও বার্তায় নিজের অসহায়ত্বের কথা জানান তিনি। দ্রুত ভিডিও বার্তাটি ভাইরাল হয়ে পড়ে ও নোয়াখালীর সাংসদের দৃষ্টিগোচর হয়।শংকর কুরী বলেন, জোট সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ ও সব সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা যখন গ্রামছাড়া, ছিল না কোনো সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড, সে সময় নিজের পকেটের টাকায় খরছ করে দলের কর্মসূচী পালন করেছি।জেলাতে রাজনৈতি করেছি পদের লোভ করিনি।
শংকরচন্দ্র কুরী আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, ২০০৮ সালের পর দলের সুসময়ে আমরা সবদিক থেকে অবহেলিত। হাইব্রিড আর অনুপ্রবেশকারীদের ভিড়ে আমরা হারিয়ে গেলাম। কিছু পাতিনেতার কারণে প্রিয় নেতার নিকট যেতে পারে না মনের কষ্টের কথা বলতে। শংকরচন্দ্র কুরী অসহায়ভাবে বলেন, কোন রকম কর্ম করেও দুমুঠো ভাতের জোগাড় করতে চেষ্টা। জরাজীর্ণ ঘরে পরিবার নিয়ে কোনোরকমে জীবন চালাচ্ছি। মায়ের চিকিৎসার জন্য অনেক অর্থ প্রয়োজন,জোগাড় করা আমার পক্ষে অসম্ভব তাই লাইভে এসে কষ্টের কথা বলেছি।
শংকরচন্দ্র কুরী আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, দলের দায়ীত্বশীল ব্যক্তিদের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি সাড়া পাইনি।আমাদের শেষ ভরসা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন, বিশস্ত হাতিয়ার আলহাজ্ব একরামুল করিম চৌধুরী এম,পি।তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম, অামি কৃতজ্ঞ উনার একজন আস্থাভাজন কর্মী হতে পেরে।প্রিয় নেতার আদর্শ নেতৃত্বে রাজপথে সবসময় ছিলাম বর্তমানেও আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো।জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু। যতদিন দেহে প্রাণ আছে এ দূরসময়ে সাড়া দিয়েছেন এমপি সাহেব আমি ও আমার পরিবার কৃতজ্ঞ প্রিয় নেতার নিকট।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দলের দুঃসময়ের পরীক্ষিত সংগঠন প্রিয় কর্মীদের এমন অবস্থা আমাকে কেউ বলেনি,বললে দ্রুত সব ব্যাবস্থা করে দিতাম। পৌর আ,লীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু বলেন,এটা আমাদের জন্য খুবই লজ্জার। অসহায় কর্মীদের সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
Leave a Reply