নোয়াখালীর হাতিয়ায় যৌতুকের দাবিতে মধ্যযুগীয় কায়দায় শাবনুর নামে এক নববধূকে পিটিয়ে হত্যা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাৎক্ষণিক দুইজনকে আটক করেছে। নিহত শাবনুর আক্তার উপজেলার হরণি ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বয়ারচর নবীনগর গ্রামের নুর ইসলামের মেয়ে।
শুক্রবার সকালে উপজেলার চানন্দি ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের নলেরচরের রহমতপুর গ্রামের বাহার মেস্তরির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের মা মনোয়ারা বেগম জানান, তিন মাস আগে ওমান প্রবাসী বাহার মেস্তরির ছেলে ফরিদ উদ্দিনের সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় যৌতুকের কিছু টাকা বাকী ছিল। বিয়ের পর থেকে ওই যৌতুকের টাকার জন্য ও ঘরের আসবাবপত্রের জন্য শাবনুরকে একাধিকবার মারধর করে স্বামী।
শুক্রবার সকালে মোরগকে খাদ্য দেয়া নিয়ে শাবনুরের সঙ্গে তার শাশুড়ি ও ননদের কথা কাটাকাটি হয়। পরে এ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী, শাশুড়ি, ননদসহ শাবনুরকে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করে। এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে নেয়ার পথে শাবনুর মারা যায়। পরে নিহতের স্বামী মরদেহ বাড়িতে নিয়ে এসে প্রচার করে শাবনুর বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে। নিহতের খালু আবুল কালাম ও তার খালা শাবনুরের শ্বশুর বাড়িতে গেলে নিহতের স্বামীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
নিহতের মা মনোয়ারা বেগম, তার মেয়েকে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন। এ ঘটনায় তিনি জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
নিহতের খালু আবুল কালাম জানান, এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাবনুরের শাশুড়ি ও ননদকে আটক করেছে।
হাতিয়া থানার ওসি আবুল খায়ের জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার এখনো কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply