নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফির দুই মামলায় দুইজনের ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
সোমবার বিকেলে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসফিকুল হকের আদালতে গ্রেফতার আব্দুর রহিম ও রহমত উল্ল্যাহকে হাজির করে সাতদিন করে রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক তিনদিন করে ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ থানার এসআই মোস্তাক।
এদিকে, ঢাকায় মামলার প্রধান আসামি বাদল ও দেলওয়ারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। এ নিয়ে মামলায় নোয়াখালী ও ঢাকা থেকে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে, রোববার রাতে নয়জনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী।
মামলার এজাহারে গৃহবধূ উল্লেখ্য করেন, দীর্ঘদিন ধরে বাবার বাড়িতে থাকছেন তিনি। ২ সেপ্টেম্বর তার সঙ্গে দেখা করতে আসেন স্বামী। রাত ৯টার দিকে শয়ন কক্ষে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ছিলেন। এ সময় বাদল, রহিম, আবুল কালাম, ইসরাফিল হোসেন, সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আব্দুর রব, আরিফ ও রহমত উল্যাসহ অজ্ঞাত আসামিরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢাকে। এরপর তার স্বামীকে মারধর করে পাশের কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। একপর্যায়ে তারা ওই গৃহবধূকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে রাজি না হলে তার ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় এবং মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখে তারা। এ সময় আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে কাউকে কিছু জানালে গৃহবধূকে হত্যার হুমকি দেয় আসামিরা। তারা চলে যাওয়ার পর কাউকে কিছু না জানিয়ে ভুক্তভোগী গৃহবধূ জেলা শহর মাইজদীতে বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেন।
সেখানে থাকা অবস্থায় মুঠোফোনে আসামিরা তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে নগ্ন ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে রোববার দুপুরে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।
Leave a Reply