নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক যুবতীকে (২৫) ৯ মাস ধরে ধর্ষণের অভিযোগ এনে বাবা ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ পেয়ে মামলার প্রধান আসামি সিরাজুল ইসলামকে (৬৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে ধর্ষণ ও প্রতারণার শিকার ওই নারী বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অপর আসামি হলেন- সিরাজুল ইসলামের ছেলে মাহবুবুর রহমান (৩৫)।
অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের আমানতপুর মহল্লার সিরাজুল ইসলাম উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ওই তরুণীকে চাকরি দেওয়ার কথা ও বিয়ের প্রলোভন দেখায়। এরপর দীর্ঘ ৮ থেকে ৯ মাস ধরে নোয়াখালী এবং ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে স্ত্রী পরিচয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে।
দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও সিরাজুল ইসলাম মেয়েটিকে কোনো চাকরি দেননি এবং বিয়েও করেনি। বিয়ের জন্য চাপ দিলে সিরাজুল ইসলাম নানা টালবাহানা শুরু করে।
এক পর্যায়ে ধর্ষকের ছেলে মাহবুবুর রহমান ভয়ভীতি দেখিয়ে তরুণীর কাছ থেকে অলিখিত ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান সিকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সিরাজুল ইসলাম মেয়েটিকে চাকরি ও বিয়ের প্রলোভনে গত ৮ থেকে ৯ মাস যাবত ধর্ষণ করে আসছিল। সিরাজুল ইসলামের ছেলে মাহবুবুর রহমান মেয়েটির কাছ থেকে অলিখিত ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে।
মেয়েটির কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি সিরাজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার ছেলেকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply