অর্থের অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করা পটুয়াখালীর সেই ভিক্ষুক দম্পতি পাচ্ছেন সরকারি ঘর। মো. সুলতান ও সকিনা বেগম দম্পতির মানবেতর জীবনযাপন নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর এগিয়ে আসে উপজেলা প্রশাসন ও কয়েকটি সংগঠন।
এ পর্যন্ত তারা প্রায় লাখ টাকার সহায়তা পেয়েছেন। শনিবার (২ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকার চেক ও একটি নিউজ পোর্টালের মাধ্যমে আসা ২১ হাজার টাকা দেয়া হয়। এছাড়া ওই দম্পতির নিজস্ব জমিতে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ কর্মসূচির আওতায় ঘর নির্মাণের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে ‘ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ বিনির্মাণে, সেবা ও সুযোগ প্রান্তজনে’ প্রতিপাদ্যে সমাজসেবা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তাদের হাতে চেক ও টাকা তুলে দেন এমপি কাজী কানিজ সুলতানা। জেলা প্রশাসন ও সমাজ সেবা অধিদফতর এর আয়োজন করে।
ডিসি মতিউল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন এডিসি হুমায়ন কবির, অ্যাডিশনাল এসপি মুকিত হাসান খান, সমাজসেবা অধিদফতরের উপ-পরিচালক শীলা রাণী দাস, ইউএনও লতিফা জান্নাতীসহ সংশ্লিষ্টরা।
অনুভূতি প্রকাশ করে সভায় বৃদ্ধ সুলতান বলেন, আমি একদিন খেলে তিনদিন না খেয়ে থাকতাম। আমি অক্ষম, আমার স্ত্রী ভিক্ষা করে এনে আমারে খাওয়ায়। এখন আমার ভাঙা ঘরে খাবারে ভরা, সোলার, লেপ, তোষক পেয়েছি। আর কিছু চাই না। তবে আমার একটু জমি আছে, সেখানে একটি ঘর বানিয়ে কদিন থেকে মরতে চাই।
সুলতানের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পটুয়াখালীর ডিসি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ কর্মসূচির আওতায় ঘর নির্মাণের জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এজন্য সদর ইউএনওকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এ পর্যন্ত ভিক্ষুক দম্পতি যা কিছু পেয়েছেন- একটি তোষক, একটি লেপ, একটি সোলার সিস্টেম, সাতটি লুঙ্গি, সাতটি শাড়ি, দুটি জ্যাকেট, ছয়টি কম্বল, একটি পাঞ্জাবি, দুটি গামছা, একটি সিমসহ মোবাইল ফোন, ৭০ কেজি চাল, ১২ লিটার তেল, পাঁচ কেজি ডাল, আট কেজি পেঁয়াজ, চার কেজি চিড়া, তিন কেজি লবণ ও পাঁচ কেজি চিনি।
Leave a Reply