পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী খাওয়াজা আসিফকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) সদস্যরা।
দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের আমলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে প্রথমবার তিনি মন্ত্রিত্ব পান। বর্তমানে আসিফ দেশটির অন্যতম বিরোধী মুখ। নওয়াজ শরিফের অবর্তমানে দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাও তিনি।
পাকিস্তানের বিরোধীদলগুলো জানায়, রাজনৈতিক কারণেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আসিফকে গ্রেপ্তার করা নিয়ে টুইট করেছেন নওয়াজ শরিফ। তাঁর অভিযোগ, ইমরান খানের সরকার বিরোধীদের বিরুদ্ধে দমনমূলক আচরণ করছে। আসিফের নিঃশর্ত মুক্তি চেয়েছেন নওয়াজ। যদিও তাঁর বিরুদ্ধেও শাস্তির খাঁড়া ঝুলছে।
মঙ্গলবার দলীয় কার্যালয়ে একটি বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন আসিফ। সেখান থেকে বেরনোর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁকে গ্রেপ্তার করে দেশটির এনএবি’র অফিসাররা। অভিযোগ, আসিফের আয়ের সঙ্গে তাঁর সম্পত্তির সামঞ্জস্য নেই। কোথা থেকে এত সম্পত্তি তিনি করেছেন, তার হিসেব দিতে পারেননি বলেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এনএবি-র প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আসিফকে এর আগেও তলব করা হয়েছিল। কিন্তু তিনি যাননি। সম্পত্তির হিসেবও দিতে পারেননি।
এনএবি-র বক্তব্য, ১৯৯১ সালে আসিফের মোট সম্পত্তি ছিল পাঁচ দশমিক এক মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি। ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২২১ মিলিয়ন পাকিস্তানি রুপি। এত টাকা কোথা থেকে এল তাঁর কাছে? আসিফ এর আগে দাবি করেছিলেন, আরব আমিরাতের একটি সংস্থায় কাজ করতেন তিনি। সেখান থেকে এই পরিমাণ সম্পত্তি হয়েছে তাঁর। কিন্তু এনএবি-র বক্তব্য, যে সময় আসিফ আরব আমিরাতে কাজ করতেন বলে দাবি করছেন, সে সময় তিনি দেশেই ছিলেন। ওই কোম্পানির কাগজ তিনি জাল করেছেন বলে অভিযোগ।
বিরোধীরা অবশ্য এই পুরো বিষয়টিকেই চক্রান্ত বলে মনে করছে। এদিকে আসিফকে গ্রেপ্তার করায় ইমরানের উপর বিরোধীদের চাপ আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্র: ডন, রয়টার্স
Leave a Reply