ভারী বৃষ্টি ও বন্যায় পাকিস্তানে নিহতের সংখ্যা তিন শতাধিক ছাড়িয়েছে। পানি নিচে বিস্তীর্ণ এলাকা। দেশটিতে বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে বালোচিস্তান প্রদেশে। এক প্রদেশেই নিহত হয়েছেন ১৩৬ জনের বেশি মানুষ। একই অবস্থা ইরানেও। দেশটিতে অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে বন্যায়।
ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। রোববার পাকিস্তানের বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান তিনি। সেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে সাহায্যের আশ্বাস দেন পাক প্রধানমন্ত্রী। খবর জিও টিভির
মৃতদের পরিবারের জন্য বিশেষ প্যাকেজ ঘোষণা করেন শাহবাজ শরিফ। বন্যায় গৃহহীনদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবেন বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রায় ১৩ হাজার ঘর সম্পূর্ণভাবে ভেঙে গিয়েছে। বিগত পাঁচ সপ্তাহের বৃষ্টিতে সিন্ধু প্রদেশেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। করাচি শহরে মারা গিয়েছেন প্রায় ৭০ জন।
বিপর্যয় মোকাবেলা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, পাঞ্জাব প্রদেশে মৃতের সংখ্যা অন্তত ৫০ এবং দুর্গম খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে মারা গিয়েছেন কমপক্ষে ৬০ জন।
বালোচিস্তানের প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, ১৩৬ জন নিহতের মধ্যে ৫৬ জন পুরুষ, ৪৭ জন শিশু এবং ৩৩ জন নারী। এছাড়া আহত হয়েছেন ৭০ জন।
উদ্ধারকাজে নেমেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীও। হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। মানবেতর জীবন যাপন করছেন তারা।
একই অবস্থা ইরানেও। কয়েক সপ্তাহের প্রবল বৃষ্টি বিস্তীর্ণ অঞ্চল পানির নিচে চলে গেছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৭০ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। বাড়ি ভেঙেছে প্রায় ২০ হাজার মানুষের। নিখোঁজের সংখ্যা প্রায় ৪৫।
বৃষ্টি ও বন্যায় ইরানের প্রায় ২০টি প্রদেশ ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডুবে গেছে রাস্তা ও এয়ারপোর্ট। বহু পর্যটক বন্যার কারণে আটকা পড়েছেন। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার জন্য পাকিস্তান ও ইরানের মধ্যে রেল পরিষেবা ব্যহত হচ্ছে।
Leave a Reply