পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে পিরোজপুরে ৭৭ হাজার দরিদ্র অসহায় ও স্বল্প আয়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভর্তুকিমূল্যে ডাল, তেল, চিনি বিতরণ করা হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) জেলার ৭টি উপজেলা, ৪টি পৌরসভা ও ৫৩টি ইউনিয়নের ৭৭ হাজার ৫০১ জন বিশেষ কার্ডধারীকে এই সুবিধা প্রদান করবে।
২০ মার্চ রবিবার ১ম কিস্তির মালামাল প্রদান করা হবে। রমজান মাসের মধ্যবর্তী সময়ে দেওয়া হবে ২য় কিস্তির মালামাল।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক চৌধুরী রওশন ইসলাম জানান, প্রথম কিস্তির প্রতিটি বিশেষ কার্ডের নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ৫৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল এবং প্রতি লিটার ১১০ টাকা মূল্যে ২ লিটার সয়াবিন তেল। টিসিবি কর্তৃক সমগ্র দেশে ১ কোটি দরিদ্র অসহায় স্বল্প আয়ের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভর্তুকিমূল্যে ডাল, তেল, চিনি বিতরণের কর্মসূচির সরকারি সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় পিরোজপুরের ৭৭ হাজার ৫০১ জন বিশেষ কার্ডধারী ও এই সুবিধা পাচ্ছে। ২য় কিস্তির মালামালের সাথে ছোলার ডালও সংযুক্ত করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
পিরোজপুরের ১ম কিস্তিতে যারা এই সুবিধা পাচ্ছেন তাদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৯ হাজার ৪১৪ জন, নাজিরপুরে ১০ হাজার ৮৪ জন, নেছারাবাদে (স্বরূপকাঠী) ১২ হাজার ৮ জন, ভান্ডারিয়ায় ৯ হাজার ৪৬০ জন, মঠবাড়িয়ায় ১৪ হাজার ৪৬৪ জন, কাউখালীতে ৬ হাজার ৮১০ জন এবং ইন্দুরকানীতে ৫ হাজার ৭১২ জন। একই সাথে পিরোজপুর পৌরসভায় ৪ হাজার ৩৭৫ জন, নেছারাবাদ পৌরসভায় ১ হাজার ১৭০ জন, মঠবাড়িয়া পৌরসভায় ১ হাজার ৩০৬ জন এবং ভান্ডারিয়া পৌরসভায় ২ হাজার ৬৯৬ জন এই সুবিধা পাবে।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান, ইতোমধ্যেই নীতিমালা অনুযায়ী ইউপি চেয়ারম্যানদের কাছ থেকে নামের তালিকা সংগ্রহ করে কার্ড দেওয়া হয়েছে। ২১ জন ডিলারের মাধ্যমে জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় টিসিবির এসব পণ্য মালামাল সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয় করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ মালামাল বিক্রির স্থানগুলো নির্দিষ্ট করে দিবেন এবং তালিকাভুক্তদের পণ্য প্রদানের স্থান ও সময় জানিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, টিসিবির পণ্য বিতরণে কোন ধরণের অনিয়মের প্রমাণ পেলে তাৎক্ষনিকভাবে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Leave a Reply